Thursday, June 5, 2014

রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহী ওয়াসাল্লামকে 'নেতা' বলে ডাকা এটা গোমরাহীদের কাজ যা সম্পূর্ণভাবে হারাম

রাহমাতাল্লিল আলামীন নবী মুহাম্মাদুর রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহী ওয়াসাল্লামকে 'নেতা' বলে ডাকা এটা গোমরাহীদের কাজ যা সম্পূর্ণভাবে হারাম।

..
কুরআন কারীমে ইরশাদ করেছে-
ﻟَﺎ ﺗَﺠْﻌَﻠُﻮْﺍ ﺩُﻋَﺎﺀَ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮْﻝِ
ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻛَﺪُﻋَﺎﺀِ ﺑَﻌْﻀِﻜُﻢْ
ﺑَﻌْﻀًﺎﻭَ
ﻟَﺎﺗَﺠْﻬَﺮُﻭْ ﺍﻟَﻪُ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻛَﺠَﻬْﺮِ
ﺑَﻌْﻀِﻜُﻢْ ﻟِﺒَﻌْﺾٍ ﺍَﻥْ ﺗَﺤْﺒَﻂَ
ﺍَﻋْﻤَﺎﻟُﻜُﻢْ ﻭَﺍَﻧْﺘُﻢْ ﻟَﺎﺗَﺸْﻌُﺮُﻭْﻥَ

.
অর্থাৎ - তোমরা তোমাদের মধ্যে রাসুলকে ডাকার এমন রীতির প্রচলন করিও না, যেমন করে তোমরা একে অপরকে ডেকে থাক । তাঁর সমীপে চেঁচিয়ে কথা বলিও না, যেমন করে তোমরা পরস্পরের সাথে উচ্চস্বরে কথা বল; পাছে তোমাদের আমলসমূহ তোমাদের অজ্ঞাতসারে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয় । আমলসমূহ কুফরের কারণে নস্যাৎ হয়ে থাকে । 

‘মদারেজ’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে -
ﻭﺻﻞ ﺍﺯ ﺟﻤﻠﻪ ﺭﻋﺎﻳﺖ
ﺣﻘﻮﻕ
ﺍﻭﻟﻴﺴﺖ
.
শীর্ষক আলোচনায় উল্লেখিত আছেঃ-
ﻣﺨﻮﺍﻧﻴﺪ ﺍ ﻭﺭ ﺍﺑﻨﺎﻡ ﻣﺒﺎﺭﻙ
ﺍﻭﭼﻨﺎﻧﻜﻪ ﻣﻰ ﺧﻮﺍﻧﻴﺪ
ﺑﻌﻀﮯ
ﺍﺯ ﺷﻤﺎ ﺑﻌﺾ ﺭﺍ ﺑﻠﻜﻪ
ﺑﺎﮔﻮﻳﺪ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﻟﻠﻪ ﻳﺎﻧﺒﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺎ ﺗﻮﻗﻴﺮ ﻭﺗﻮﺿﻴﻊ .
.
অর্থাৎ- নবী (আলাইহিস সালাম) কে তাঁর পবিত্র নাম ধরে ডাকতে নেই, যেমন তোমরা পরম্পরকে ডেকে থাক । বরং তাঁকে আদব সম্মান ও বিনয় সহকারে এভাবেই ডাকবে-
‘ইয়া রাসুলাল্লা’ ।
ইয়া নাবীয়াল্লা’ ।
তাফসীরে ‘রুহুল বয়ানে’ উক্ত আয়াত এর ব্যাখ্যা করা হয়েছে এরূপঃ
ﻭَﺍﻟْﻤَﻌْﻨَﻰ ﻟَﺎﺗَﺠْﻌَﻠُﻮْ ﺍﺑِﺪَﺍﺀَ ﻛُﻢْ
ﺍِﻳَّﺎﻩُ ﻭَﺗَﺴْﻤِﻴْﺘَﻜُﻢ ْ ﻟَﻪُ ﻛَﻨِﺪَﺍﺀِ
ﺑَﻌْﻀِﻜُﻢْ ﺑَﻌْﺼًﺎﻟِﺎِﺳْﻢِ ﻩِ ﻣِﺜْﻞُ
ﻳَﺎﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﻭَﻳَﺎﺍِﺑْﻦَ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ
ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﺑِﻠَﻘَﺒِﻪِ ﺍﻟْﻤُﻌَﻈَّﻢِ ﻣِﺜْﻞُ
ﻳَﻨَﺒِﻰَّ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻳَﺎﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ
ﻛَﻤَﺎ
ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻳَﺎﺍَﻳُّﻬَﺎﺍ ﻟﻨَّﺒِﻰُّ
ﻭَﻳَﺎﺍَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮْﻝُ
.
অর্থাৎ - মূল কথা হচ্ছে হুজুর (আলাহিস সালাম) কে ডাকার ও তাঁর নাম লওয়ার সময় এমন ভাবে ডাকবে না’ যে ভাবে তোমরা পরস্পরকে নাম ধরে ডাকাডাকি কর ।যেমন- 

হে মুহাম্মদ! ওহে আবদুল্লার পুত্র ! তবে, তাঁকে মহিমান্বিত উপাধিসমূহের মাধ্যমে ডাকবে, যেমন-
ওহে আল্লাহর নবী ! ওহে আল্লার রাসুল ! যেমন-

স্বয়ং মহা প্রভু আল্লাহ তাঁকে ‘হে নবী ।’ হে রাসুল বলে সম্বোধন করে থাকেন ।

No comments:

Post a Comment