Friday, June 6, 2014

February

অধিকাধিক সাজদাহ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর খাদেম সাওবান (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,

"তুমি

অধিকাধিক সাজদাহ করাকে অভ্যাস বানিয়ে নাও। কারণ, তুমি যে কোন সাজদাহ করবে, আল্লাহ তাআলা তার দ্বারা তোমাকে মর্যাদায় এক ধাপ উঁচু করে দেবেন এবং তোমার থেকে একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।"

(রিয়াদুস সালেহীন: ১০৯, মুসলিম: ৪৮৮, তিরমিযী: ৩৮৮, নাসায়ী: ১১৩৯, ইবনে মাজাহ: ১৪২৩, আহমাদ: ২১৮৬৫, ২১৯০৫, ২১৯৩৬)

ইয়াতীমের অধিকার

" ইয়াতীমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। খারাপ মালের সাথে ভালো মালের রদ-বদল করো না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-সম্পদের সাথে মিশিয়ে তা গ্রাস করো না। নিশ্চয়ই, এটা বড় মন্দ কাজ।"

~(সূরা নিসা : ২)~

"তোমরা ইয়াতীমদের ধন-সম্পত্তির নিকটেও যেয়ো না; অবশ্য এমন নিয়ম ও পন্থায়, যা সর্বাপেক্ষা ভালো, যত দিন না সে জ্ঞান বুদ্ধি লাভের বয়স পর্যন্ত পৌঁছে যায়।"

~(সূরা বনি ইসরাঈল : ৩৪)
::

করবানির পূর্ণতা


আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বতা
লেন, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের আগে যবেহ্ করল সে যেন নিজের জন্যই যবেহ্ করল। আর যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পর যবেহ্ করল, তার কুরবানী পূর্ণ হলো এবং সে মুসলমানদের নীতি অনুসরণ করল।"

~(বুখারী ৯ম খণ্ড, অধ্যায় কুরবানী, পৃষ্ঠা: ১৯৬)

সকল মু'মিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মু'মিন অপেক্ষা বেশি প্রিয়

"আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত,

"সবল মু'মিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মু'মিন অপেক্ষা বেশি প্রিয়। আর প্রত্যেকের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। তুমি ঐ জিনিসে যত্নবান হও, যাতে তোমার উপকার আছে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর ও উৎসাহহীন হইয়ো না। যদি তোমার কিছু ক্ষতি হয়, তাহলে একথা বল না যে, 'যদি আমি এরকম করতাম, তাহলে এরকম হতো।' বরং বলো, 'আল্লাহর (লিখিত) ভাগ্য এবং তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন।' কারণ, 'যদি' (শব্দ) শয়তানের কাজের দুয়ার খুলে দেয়।"

~(রিয়াদুস সালেহীন: ১০২, বুখারী: ২৬৬৪, ইবনে মাজাহ: ৭৯, ৪১৬৮, আহমাদ: ৮৫৭৩, ৮৬১১)

অহংকার এর পরিণাম


আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:::
প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন,

“যার অন্তরে অণু পরিমান

অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা।” এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, “যদি কেউ সুন্দর জামা আর সুন্দর জুতা পরিধান করতে ভালবাসে?”
তখন নবী করীম (সাঃ) বললেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। অহংকার মানে হল সত্য প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা।”

~(সহীহ্‌ মুসলিম; কিতাবুল ঈমান, অধ্যায়: ১, হাদীস নম্বর: ১৬৪)

একটি গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতামূলক পোস্ট

হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেন—
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন,
“আমার উম্মতের মধ্যে যখন চৌদ্দটি উপসর্গ দেখা দিবে তখন তাদের উপর আল্লাহর গযব একের পর এক নাযিল হতে শুরু করবে।”

জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! এই চৌদ্দটি উপসর্গ কী কী?
তিনি বললেন—

১► সরকারী ভান্ডারে গচ্ছিত জনগনের সম্পদকে যখন তত্ত্বাবধায়কেরা­ নিজের ব্যাক্তিগত সম্পদ রূপে তসরূপ করতে শুরু করবে।

২► আমানতের মালকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদরূপে গণ্য করা হবে।

৩► যাকাত দেওয়া টাকা জরিমানা বলে মনে করবে।

৪► স্বামী স্ত্রীর আনুগত্য করতে শুরু করবে।

৫► ছেলে মায়ের অবাধ্য হয়ে যাবে।

৬► বন্ধুর মনোরঞ্জন করবে এবং পিতার উপর জুলুম করবে।

৭► মসজিদের মধ্যে হাঙ্গামা বাঁধাবে।

৮► সর্বাপেক্ষা জঘন্য চরিত্রের লোকগুলোই সমাজের নেতৃত্বপদ দখল করে বসবে।

৯► কাউকে সম্মান করা হবে তার অনিষ্ট ও দুরাচার থেকে আত্মরক্ষা করার উদ্দেশ্যে।

১০► নানা প্রকার নেশা দ্রব্য প্রকাশ্যে ব্যাবহার করা হবে।

১১► পুরুষেরা আগ্রহ ভরে রেশমী কাপড়ে তৈরী পোষাক পরিধান করবে।

১২► বিবিধ প্রকার বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপক প্রচলন হবে।

১৩► নৃত্য-গীতের আসর সরগরম হয়ে উঠবে।

১৪► লোকেরা পূর্ববর্তীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করতে শুরু করবে।

“সে সময়ে যেকোন মুহুর্তে আল্লাহ তা’আলার আযাব-গযব নেমে আসার জন্য অপেক্ষমান থেকো।
এ আযাব ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়, প্রচন্ড ভূমিকম্প অথবা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে একদল ইহূদী শনিবারে মৎস্য শিকার করে যেরূপ বিকৃত চেহারার হয়ে গিয়েছিল, সেরূপ আযাব হয়েও আসতে পারে।”

~(তিরমিযী শরীফ; কিয়ামতের আলামত অধ্যায়)

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) দৌড়ে ঘরে যাওয়ার আগেই রাসূল (দঃ) এর দোআ কবুল হয়ে গেল


একদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (দ:) এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (দ:) জিজ্ঞেস
করলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবু হোরায়রা বললেন, আমার মা আমাকে মেরেছেন।
রাসুল (দ:) বললেন,
কেন তুমিকি কোন বেয়াদবী করেছ?
আবু হোরায়রা বললেন, না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবার হতে বাড়ি যেতে আমার রাত হয়েছিল বিধায় আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথা শুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়ত আমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (দ:) এর দরবার ছাড়বি।
আমি বললাম, ও আমার মা। তুমি বয়স্ক মানুষ। তোমার গায়ে যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে মারতে থাকো। মারতে মারতে আমাকে বাড়ি থেকে করে দাও। তবুও আমি আমার রাসুলকে ছাড়তে পারবো না।
তখন রাসূল (দ:) বলেছেন,

তোমার মা তোমাকে বের করে দিয়েছেন আর এজন্য আমার কাছে নালিশ করতে এসেছ? হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন,
হে রাসূল (দ:) আমি আমার মায়ের জন্য এখানে নালিশ করতে আসি নাই। রাসুল (দঃ) বললেন, তাহলে কেন এসেছ? আবু হোরায়রা বললেন, আমি জানি আপনি আল্লাহর নবী।
আপনি যদি হাত উঠিয়ে আমার মায়ের জন্য দোয়া করতেন, যাতে আমার মাকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।
আর তখনই সাথে সাথে রাসুল (দ:) হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন,
হে আল্লাহ! আমি আপনি আবু হোরায়রার আম্মাকে হেদায়েত দান করুন।”
রাসুল (দ:) দোয়া করলেন আর আবু হোরায়রা বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পিছন থেকে কয়েকজন লোক আবু হোরায়রার জামা টেনে ধরল এবং বললো, হে আবু হোরায়রা! তুমি দৌড়াচ্ছ কেন? তখন আবু হোরায়রা বললেন, ওহে সাহাবীগণ তোমরা আমার জামা ছেড়ে দাও। আমাকে দৌড়াতে দাও। আমি দৌড়াইয়া বাড়িতে গিয়ে দেখতে চাই আমি আগে পৌঁছলাম নাকি আমার নবীজির দোয়া আগে পৌঁছে গেছে। হযরত আবু হোরায়রা দরজায় ধাক্কাতে লাগলো। ভিতর থেকে তার মা যখন দরজা খুললো তখন আবু হোরায়রা দেখলেন তার মার সাদা চুল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে।
তখন মা আমাকে বললেন,
হে আবু হোরায়রা! তোমাকে মারার পর আমি বড় অনুতপ্ত হয়েছি,অনুশোচনা করেছি। মনে মনে ভাবলাম আমার ছেলে তো কোন খারাপ জায়গায় যায়নি। কেন তাকে মারলাম?
আমি বরং লজ্জায় পড়েছি তোমাকে মেরে। হে আবু হোরায়রা! আমি গোসল করেছি। আমাকে তাড়াতাড়ি রাসুল (দ:) এর দরবারে নিয়ে চল। আর তখনই সাথে সাথে আবু হোরায়রা তার মাকে রাসুল (দ:) এর দরবারে নিয়ে গেলেন। আর তার মা সেখানেই কালেমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলেন।

"পিতা মাতা জান্নাতের মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো,নতুবা তা রক্ষা করতে পারো।"

[সহীহ তিরমিজি ]

একটি শিক্ষণীয় ঘটনাঃ

হযরত শা'বী রহমাতুল্লাহে আলাইহি বলেছেন, বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি একটি ময়না পাখি পাকড়াও করল । পাখিটি তাকে বলল, ওহে ! তুমি আমাকে পাকড়াও করলে কেন ? লোকটি জবাব দিল, আমি তোমাকে যবেহ করে মাংস খাওয়ার জন্য পাকড়াও করেছি । তার কথা শুনে পাখিটি বলল, আমার গোশত যেমন তোমার তৃপ্তিকর হবে না, তেমন তোমার ক্ষুধাও মিটবে না; বরং তুমি তার চেয়ে আমার নিকট থেকে তিনটি উপদেশ শুনে নাও, যা তোমার জন্য বহু উপকারে আসবে । তার একটি উপদেশ শুনাব আমি তোমার করতলে অবস্থান কালে । দ্বিতীয়টি শুনাব আমি তোমার হাতে থেকে উড়ে গিয়ে বৃক্ষ শাখায় বসে । আর তৃতীয় উপদেশটি শুনাব পাহাড় চূড়ায় স্থান লাভের পর । তখন লোকটি বলল, আচ্ছা এবার তোমার প্রথম উপদেশটি শুনাও । পাখিটি বলল, শোন, 'যখন কোন কিছু তোমার হাত ছাড়া হয়ে যায় তখন আর তজ্জন্য কোন আক্ষেপ করবে না' । অতঃপর পাখিটি লোকটির হাত থেকে মুক্ত হয়ে বৃক্ষ শাখায় বসে বলল, 'যা কখনও হয় না বা হতে পারে না, তা হয় বা হতে পারে বলে বিশ্বাস করবে না' । একথা বলে পাখিটি বৃক্ষ শাখা থেকে উড়ে পাহাড় চূড়ায় পৌছে বলল, 'হে হতভাগা নির্বোধ ! যদি তুমি আমাকে যবেহ করতে তাহলে আমার উদরে দুটো মোতি পেয়ে যেতে । মোতি দুটোর ওজন হবে বিশ মেছকাল' । লোকটি পাখিটির মুখে একথা শুনে আক্ষেপ করে বলল, যা হবার হয়ে গেছে । তুমি আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও । পাখিটি বলল, 'তোমাকে আর উপদেশ দিয়ে কি হবে ? তুমি তো ওয়াদা ভঙ্গ কর । আমি কি বলিনি, যদি কোন কিছু হাতছাড়া হয়ে যায় তজ্জন্য আক্ষেপ করো না । আমি তোমার হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তুমি আক্ষেপ করলে কেন ? আর আমি বলেছিলাম, যা হয় না বা হতে পারে না, তা হয় বা হতে পারে বলে কখনও বিশ্বাস করবে না । আসলে তো আমার গোশত রক্ত ও পর-পালক সবকিছু মিলিয়েও বিশ মেছকাল হবে না । তাহলে আমার পেটে বিশ বিশ চল্লিশ মেছকাল ওজনে দু'দুটো মোতি থাকবে একথা তুমি কিভাবে বিশ্বাস করে নিলে' ? একথা বলেই পাখিটি পাহাড় চূড়া থেকে উড়ে অন্যত্র চলে গেল ।

ঘটনাটি মানুষের সীমাহীন লোভ-লালসার একটি উত্তম দৃষ্টান্ত । যে লোভ-লালসা মানুষকে এভাবেই অন্ধ ও নির্বোধ করে দেয়, যাতে করে তারা বাস্তব সত্যকেও বুঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।

[সূত্রঃ মুকাশাফাতুল ক্বুলূব কৃত ইমাম গাজজালী রহমাতুল্লাহে আলাইহি]

আল-কুরআন

যে ব্যক্তি তাঁর প্রভুর সামনে (হিসাব-নিকাশের জন্য) দাঁড়াতে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে তাঁর ঠিকানা হবে জান্নাত।

=> (সূরা আন্ নাযিআত: ৪০-৪১)

যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্য হবে এবং দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেবে, জাহান্নামই হবে তার ঠিকানা।

=> (সূরা আন্ নাযিআত: ৩৭-৩৯)

AL-QURAN

"আমি কা’বা ঘরকে মানুষের জন্যে সম্মিলন এর জায়গা ও শান্তির স্থান করলাম; আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার ঘরকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ"
[ সুরা আল বাক্কারাহঃ ১২৫]

HADEES E PAAK

Huzoor SALLALLAHU-TA'AALA-ALAIHI-WASALLAM Ne Farmaya Ki Jisko Ye Pasand Ho ki Umr May Daraazi Ho Aur Rizk May Wusu-at Aur Buri Maut Dafa Ho Wo ALLAH-TA'AALA Se Darta Rahe Aur Rishta Walon Se Suluk Kare Aur Farmaya, Aye Ukba Duniya Wa Aakhirat Ke Afzal Akhlaak Yeh Hain Ki Tum Usko Milao Jo Tumeh Judha Kare Aur Jo Tumper Zulm Kare Use Muaf Kerdo Aur Jo Yeh Chahe Ki Umr May Daraazi Ho Aur Rizk May Wusu-at Ho Wo Apne Rishte Walon Ke Sath Sila Karen!

(Kanoon-A-Shari-at, Pg-526)

BAAL KA KAMAAL

HIQAYAT
*******
Huzoor Sarwar-A-Aalam SALLALLAHU-TA'AALA-ALAIHI-WASALLAM Ki Rish Mubarak Ke 2 Baal Mubarak Hazrat Siddiq-A-Akbar Radi-Allahu-Ta'aala-Anhu Ko Milgaye! Aap Un 2 Baalon Ko Bataur Tabarruk Ghar Le Aaye Aur Badi Taazim Ke Sath Ander Ek Jagah Rakh Diya! Thodi Daer Ke Baad Ander Se Quraan Padhne Ki Awaazen Aane Lagi! Hazrat Siddiq-A-Akbar Radi-Allahu-Ta'aala-Anhu Ander Gaye To Tilawat Ki Awaazen To Aarahi Thi, Magar Padhne Wale Nazar Na Aate The! Hazrat Siddiq-A-Akbar Radi-Allahu-Ta'aala-Anhu Ne Huzoor SALLALLAHU-TA'AALA-ALAIHI-WASALLAM Ki Khidmat May Haazir Hoker Saara Kissa Arz Kiya To Huzoor Ne Muskuraker Farmaya-

"Yeh Farishte Hain Jo Mere Baal Ke Paas Jama Hoker Quraan Padhte Hain!"

(Jaami-Ul-Moajizaat Pg-62)

রাসুলুল্লাহ (সা) এর জিবনপ্রনালি

রাসুলুল্লাহ (সা) এর জিবনপ্রনালি যেমন ছিল....
১। প্রবেশপথে একটি পর্দা, কোন দরজা ছিল না। (সাহাবারা ওনার দরজায় নক করতেন না, রাসুলুল্লাহ বলে ডাকাতেন- সুরা হুজুরাত)

২।রাসুলুল্লাহ (সা:) এর নিজস্ব জিনিসের মধ্যে ছিল- একটা তীর, ধনুক, বল্লম আর তরবারি
মুবারক.

৩। রাসুলুল্লাহ (সা:) এর কাছে ছিল একটা লাঠি মুবারক যা তিনি খুতবা আর হাটা চলার কাজে ব্যবহার করতেন

৪। চামড়ার তৈরি একটা পানির মশক মুবারক ,একটা প্লেট আর একটা টুপি মুবারক ছিল রাসুলুল্লাহর(সা:) প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসপাতি

৫। বাড়ির ছাদ ছিল ছনের তৈরি, বৃষ্টি হলেই ভিজে যেত ঘর, আর...

৬। বালিশ যা ছিল...... তা একটা ইট মুবারক !!!!

সুবাহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি.....!

আমাদের প্রিয় নবীজি(সা:) কত কষ্ট করে জীবন যাপন করতেন ।

একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

হযরত শা'বী রহমাতুল্লাহে আলাইহি বলেছেন, বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি একটি ময়না পাখি পাকড়াও করল । পাখিটি তাকে বলল, ওহে ! তুমি আমাকে পাকড়াও করলে কেন ? লোকটি জবাব দিল, আমি তোমাকে যবেহ করে মাংস খাওয়ার জন্য পাকড়াও করেছি । তার কথা শুনে পাখিটি বলল, আমার গোশত যেমন তোমার তৃপ্তিকর হবে না, তেমন তোমার ক্ষুধাও মিটবে না; বরং তুমি তার চেয়ে আমার নিকট থেকে তিনটি উপদেশ শুনে নাও, যা তোমার জন্য বহু উপকারে আসবে । তার একটি উপদেশ শুনাব আমি তোমার করতলে অবস্থান কালে । দ্বিতীয়টি শুনাব আমি তোমার হাতে থেকে উড়ে গিয়ে বৃক্ষ শাখায় বসে । আর তৃতীয় উপদেশটি শুনাব পাহাড় চূড়ায় স্থান লাভের পর । তখন লোকটি বলল, আচ্ছা এবার তোমার প্রথম উপদেশটি শুনাও । পাখিটি বলল, শোন, 'যখন কোন কিছু তোমার হাত ছাড়া হয়ে যায় তখন আর তজ্জন্য কোন আক্ষেপ করবে না' । অতঃপর পাখিটি লোকটির হাত থেকে মুক্ত হয়ে বৃক্ষ শাখায় বসে বলল, 'যা কখনও হয় না বা হতে পারে না, তা হয় বা হতে পারে বলে বিশ্বাস করবে না' । একথা বলে পাখিটি বৃক্ষ শাখা থেকে উড়ে পাহাড় চূড়ায় পৌছে বলল, 'হে হতভাগা নির্বোধ ! যদি তুমি আমাকে যবেহ করতে তাহলে আমার উদরে দুটো মোতি পেয়ে যেতে । মোতি দুটোর ওজন হবে বিশ মেছকাল' । লোকটি পাখিটির মুখে একথা শুনে আক্ষেপ করে বলল, যা হবার হয়ে গেছে । তুমি আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও । পাখিটি বলল, 'তোমাকে আর উপদেশ দিয়ে কি হবে ? তুমি তো ওয়াদা ভঙ্গ কর । আমি কি বলিনি, যদি কোন কিছু হাতছাড়া হয়ে যায় তজ্জন্য আক্ষেপ করো না । আমি তোমার হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তুমি আক্ষেপ করলে কেন ? আর আমি বলেছিলাম, যা হয় না বা হতে পারে না, তা হয় বা হতে পারে বলে কখনও বিশ্বাস করবে না । আসলে তো আমার গোশত রক্ত ও পর-পালক সবকিছু মিলিয়েও বিশ মেছকাল হবে না । তাহলে আমার পেটে বিশ বিশ চল্লিশ মেছকাল ওজনে দু'দুটো মোতি থাকবে একথা তুমি কিভাবে বিশ্বাস করে নিলে' ? একথা বলেই পাখিটি পাহাড় চূড়া থেকে উড়ে অন্যত্র চলে গেল ।

ঘটনাটি মানুষের সীমাহীন লোভ-লালসার একটি উত্তম দৃষ্টান্ত । যে লোভ-লালসা মানুষকে এভাবেই অন্ধ ও নির্বোধ করে দেয়, যাতে করে তারা বাস্তব সত্যকেও বুঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।

[সূত্রঃ মুকাশাফাতুল ক্বুলূব কৃত ইমাম গাজজালী রহমাতুল্লাহে আলাইহি]

আল্লাহপাক জাহান্নামীদের দেহকে বড় করে দিবেন

আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামীদের দেহকে জাহান্নামে বড় করে দেবেন যাতে তাদের কষ্ট বেশি হয় ।
যেমন হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত,
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
“একজন কাফেরের কাঁধ একজন দ্রূতগামী আরোহীর তিন দিনের রাস্তার সমান চওড়া ।"

[বুখারি হাদিস নং: ৬৫৫২, মুসলিম হাদিস নং: ২৮৫২]

Thursday, 27 February 2014

নবী বংশের মার্যাদা

হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন ,
আমি বিদায়হজ্বে আরাফাতের দিন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহিস সালাম কে ' ক্বাসওয়া নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহনরত অবস্থা বলতে শুনেছি -
হে লোকেরা ! আমি তোমাদের মধ্যে যা রেখে যাচ্ছি য কর তাহমে পথভ্রষ্ট হবে না । তা হল আল্লাহর কিতাব এবং আমার বংশধর তথা আহলে বায়ত।

[ তিরমিযী শরীফ , মিশকাত শরীফ -৫৬৫ পৃষ্ঠা ]
হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহউ আনহু বলেন -

ঐ সত্ত্বার ক্বসম ! যাঁর হাতে আমার প্রান । আমার নিকট আমার আত্বীয় অপেক্ষা নবী-ই-কিমের আত্বীয় অধিক প্রিয় ।
[বুখারি শরীফ ]

হযরত হুসাইন (র:) এর বুদ্ধিমত্তা

হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) ছোট ছিলেন ৷ তখন একদিন তাঁর নানা, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নিয়ে খেলছিলেন ৷ এক সময় নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুসাইনকে জিজ্ঞাস করলেন, বলতো কে বড় তুমি না আমি ?
হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বলেন, নানাজী আমি আপনার চেয়ে বড় ৷ নবীজী বললেন, কিভাবে ?
হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বললেন- নানা বলুনতো আপনার পিতার নাম কি ? তিনি বললেন আব্দুল্লাহ৷, হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বললেন আব্দুল্লাহ, তিনিতো সাধারন একজন লোক৷ অথচ আমার আব্বা হলেন আসাদিল্লাহিল গালিব ৷ অর্থাৎ সকল কাফিরদের বিরুদ্ধে বিজয়ী বীর আল্লাহর সিংহ ৷
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কথা শুনে আশ্চর্য হলেন,
হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) এরপর বললেন,
নানাজী ! এবার বলুনতো আপনার মায়ের নাম কি? তিনি বললেন আমিনা ৷ হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) আমার মা হচ্ছেন, জান্নাতী নারীদের সর্দার, ফাতিমাতুজ্জাহরা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) আমার মায়ের মতো মা কি আপনি পেয়েছেন ?
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কথা শুনে আশ্চার্যান্বিত হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন ৷ হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) এরপর বলেন, নানাজী আরো বলবো কি ?
নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন হ্যাঁ হ্যাঁ বলো ৷
হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বললেন, নানাজী এবার বলুনতো আপনার নানার নাম কি ?
নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার নানার নাম আব্দুল ওয়াহাব ৷
হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বললেন, আব্দুল ওয়াহাব নামের ব্যক্তিকে কয়জনে চিনে ?
আমার নানা কে আপনি জানেন ? আমার নানাকে পৃথিবীর সবাই চিনে ৷ আমার নানা হচ্ছেন,
সায়্যিদুল মুরসালিন, আশরাফুল আম্বিয়া, রাহমাতুল লিল আলামিন, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ৷ আপনি কি পেয়েছেন আমার নানার
মতো নানা ?
নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) এর বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ হয়ে তাকে আদর করতে লাগলেন,

দরুদ শরীফের ফযিলত

নবী করিম(দঃ) ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তা আলার একটি ফিরিশতা রয়েছে যার, একটা বাহু পুবে অপরটি পশিচমে, যখন কোন ব্যক্তি মহব্বত সহকারে আমার উপর দারুদ শরিফ পড়ে,তখন সেই ফিরিশতা পানিতে ডুব দিয়ে আপন পাখা ঝাড়তে থাকে। আল্লাহ পাক তার পাখা হতে তপকে পড়া প্রতিটি পানির ফোটা হতে এক একটি।ফিরিশতা সৃষ্টি করেন।সে ফিরিশ্তারা কিয়ামত পযন্ত ঐ দারুদ পাঠকারীর জন্য কমা প্রাথনা করেতে থাকে।
( আবু দাউদ শরীফ )

উম্মত ওায়ালা নবী

হযরত আনাস রা. বলেন,
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কিয়ামতের দিন আমার জন্য সুপারিশের আবেদন জানালাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
 (হ্যাঁ) আমি তোমার জন্য সুপারিশ করব। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমি (সেদিন) আপনাকে কোথায় খুঁজব।
নবীজী বললেন,
প্রথমে (পুল)সিরাতের কাছে খুঁজবে। বললাম, সেখানে যদি আপনার সাথে আমার সাক্ষাৎ নাহয় তাহলে কোথায় খুঁজব?
তিনি বললেন,
তাহলে আমাকে মীযানের কাছে খুঁজবে।
আমি বললাম,
সেখানেও যদি আপনাকে না পাই?
নবীজী বললেন,
তাহলে হাউজের (হাউজে কাউসার) কাছে খুঁজবে। কারণ আমি সেদিন এই তিন স্থানের কোনো না কোনো স্থানে থাকবই।

{জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৪৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১২৮২৫}

দয়াল নবীজির গোলামির মর্যদা

হযরত আসমা বিনতে উমায়স রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে,
একবার হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী (রা:) উনার উরু মোবারকের উপর মাথা মোবারক রেখে শুয়ে ছিলেন, এ সময় উনার প্রতি ওহী মুবারক অবতীর্ণ হচ্ছিল ! হযরত আলী (রা:) তিনি তখনো আছরের নামাজ আদায় করেন নাই, এদিকে সূর্যও অস্তমিত হয়ে গিয়েছিল। তখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
হে হযরত আলী আপনি কি আসরের নামাজ আদায় করেছেন ?
জবাবে তিনি বললেন,
না ! ঐ সময় হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করলেন, 
ইয়া আল্লাহ পাক ! হযরত আলী আপনার এবং আপনার হাবীবের খিদমতে ছিলেন, আপনি উনার জন্যে সূর্যকে ফিরিয়ে দিন। সে সময় সূর্য পূনরায় ফিরে আসলো। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 
আমি সূর্য অস্ত যেতেও দেখেছি এবং আবার উদিত হতেও দেখেছি ! সূর্যের কিরন পাহাড় ও মাটিতে ছড়িয়ে পরেছিল। এ ঘটনা সাহবা নামক স্থানে সংঘটিত হয়। "" 
(মাদারেজুন নবুওয়াত ৬ ষষ্ঠ অধ্যায়) 
--- সুবহানাল্লাহ ---

সাত ধরনের ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সাঃ) বলেন, ‌"
১) ন্যায়পরায়ণ শাসক।
(২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে বড় হয়েছে।
(৩) যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অন্তর এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে।
(৪) এমন দু’জন লোক যারা আল্লাহর জন্য পরস্পরের প্রতি ভালবাসা স্থাপন করেছে, একই কারণে পরস্পর এক সঙ্গে থাকে এবং বিচ্ছিন্ন হয়।
(৫) এমন ব্যক্তি যাকে কোনো ধনী পরিবারের সুন্দরী নারী (খারাপ কাজে) আহ্বান করেছে, কিন্তু সে তাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে যে আমি আল্লাহকে ভয় করি।
(৬) এমন ব্যক্তি যে এত গোপনে দান-সদকা করেছে যে তার ডান হাত কি দান করেছে তার বাম হাতও তা জানতে পারেনি। এবং
(৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করেছে এবং তার দু’চোখ বেয়ে পানি পড়েছে।
 

সাত ধরনের ব্যক্তিকে আল্লাহ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন, যেদিন আল্লাহ-র ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়াই অবশিষ্ট থাকবে না। তারা হলেনঃ
[বুখারী: ৬৬০, মুসলিম: ১০৩১]

রাসূলুল্লাহ (দ:) এর পিতৃ পুরুষের বংশ পরিচয়

১. হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
২. খাজা আব্দুল্লাহ ,
৩. খাজা আব্দুল মুত্তালিব
৪. হাশিম,
৫. আবদে মানাফ,
৬. কুসাই,
৭. কিলাব,
৮. মুররা,
৯. কা’আব,
১০. লুয়াই
১১. গালিব,
১২. ফিহর (এই ফিহরের নাম কুরাইশ),
১৩. মালিক,
১৪. নযর,
১৫. কিনানা
১৬. খুযাইমা, 

১৭. মুদরিকা, 
১৮. ইলিয়াস, 
১৯. মুযার, 
২০. নযার, 
২১. মাআদ, 
22
. আদনান

বংশতালিকার এই পর্যন্তের মধ্যে কোন ঐতিহাসিকের মতভেদ নেই। এ আদনান নিঃসন্দেহে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের পুত্র হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের বংশধর।
--- সুবানাল্লাহ ---

নূর নবীর কারনে সকল কিছুই সৃষ্টি

আল্লাহ পাক বলেনঃ
হে আদম তোমার মাথা উঠাও , তিনি তাঁর মাথা উঠালে আরশের চৌকটের উপরে নূরে মুহাম্মাদী (দ:) দেখেন । তখন তিনি বলেনঃ
হে আল্লাহ এটা কিসের নূর? আল্লাহ পাক বলেন এটা তোমার বংশধর হতে একজন নবীর নূর । (যিনি) আসমানে আহমদ এবং জমিনে (পৃথিবীতে) মুহাম্মদ (দ:) নামে যার পরিচয় হবে। আর আমি যদি এই নূর (মুহাম্মদ (দ:) ) সৃষ্টি না করতাম ,তাহলে আমি তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না এবং আসমান জমিন কিছুই সৃষ্টি করতাম না ।

[ "মাওয়াহেবে লুদুনিয়া" ১ম খন্ড , ৯ পৃষ্ঠা ]

--- সুবহানাল্লাহ ---

মা’য়ের সাথে ভালো আচরনের প্রতিদান

হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম, জান্নাতে প্রবেশ করেছি। সেখানে কোন পাঠকের পড়ার আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কে? তারা (ফেরেশতা) বললেন,-ইনি হারেছা ইবনে নোমান। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এমনই হয় সেবা ও সদাচরনের প্রতিদান, এমনই হয় সেবা ও সদাচারের বিনিময়। তিনি ছিলেন তার মায়ের প্রতি সর্বাধিক সদ্ব্যবহারকারী।
{মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৫১৮২; সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস : ৮২৩৩; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৭০১৪}
আল্লাহ আমাদেরকে পালন করার তৌফিক দান করুক..... আমিন

একজন পুরুষের সাথে দ্বীনদার নারী

একজন পুরুষের সাথে দ্বীনদার নারী হলেন রাজার মাথায় স্বর্ণখচিত মুকুটের মতন, অন্যদিকে একজন পুরুষের সাথে খারাপ নারী হলো বৃদ্ধ ব্যক্তির মাথায় চাপানো ভারী বোঝার মতন।”
– আব্দুল-রাহমান ইবনে আবজা
[আল-মুসান্নাফ, ১৭৪২৮]

“আমার স্ত্রীর জন্য আমি নিজেকে সুন্দর করে প্রস্তুত করতে ভালোবাসি ঠিক যেমনটা ভালোবাসি আমার স্ত্রী আমার জন্য সুন্দর হয়ে সাজলে।”
— আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ]
আলোকিত শান্তির বাণী : ইসলামি স্কলার ও চিন্তাবিদদের উদ্ধৃতি

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।"
[সহীহ মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন - ২৮০]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
"স্ত্রীদের বিষয়ে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তারা তোমাদের নিকট আবদ্ধ। আল্লাহ তাআলার আমানতে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ, আল্লাহর কালিমা দ্বারা তোমরা তাদের লজ্জাস্থানকে বৈধ করেছ। আর তাদের জন্য তোমাদের উপর রয়েছে তাদের সঙ্গত ভরণ-পোষণ।"
{সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪৭; জামে তিরমিযী, আবওয়াবুর রিযা’ হাদীস : ১১৬৩}

"তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম , যে তোমাদের স্ত্রীদের নিকট উত্তম"
[সহীহ মুসলিম]

Paidayeshi Sunnat

Hazrat Aisha Radi Allahu Anha se Riwayat hai ke RasoolAllah Sallallahu Alayhi Wasallam ne Irshad Farmaya Dus Chizen

► Munchen katarwana,
► Dadhi badhana,
► Miswak karna,
► Naak mein pani dalna,
► Nakhun katna,
► Jod dhona (kano ke Andar aur Naak aur baghal aur rano ka dhona),
► Baghal ke baal ukhedna,
► Zair Naaf baal saaf karna,
► Pani se istenja karna,
► Mus’ab rawi bayan karte hain ke Duswi cheez main bhool gaya Shayad wo kulli karna ho.
[Urdu Ref :: Sahih Muslim :: Vol.1 :: Hadith 604]

Paidayeshi Sunnat Hain.

HADEES E PAAK


Hazrat Abu Hurairah Radi Allahu Anhu se Riwayat hai ke RasoolAllah
Sallallahu Alayhi Wasallam ne Farmaya Jis ne Ilm seekhne ke liye koi Raasta Ekhtiyar kiya, Allah Tala us ke liye Jannat ka Aik Rasta Aasan kar deta hain.
[Urdu Ref :: Jami at Tirmidhi :: Vol.2 :: Hadith 541]

একদা হযরত ওমর ফারুক (রা:)

একদা হযরত ওমর ফারুক (রা:) মদীনার কোন এক গলিপথ দিয়ে হেঁটে চলছিলেন। হঠাৎ একটি যুবকের প্রতি তাঁর দৃষ্টি পড়ে গেল। সে তার পরিহিত বস্ত্রের নীচে একটি বোতল লুকিয়ে রেখেছিল। হযরত ওমর (রা:) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে যুবক! তুমি তোমার বস্ত্রের নীচে কি ঢেকে রেখেছ ?
বোতলটি মদ ভর্তি ছিল; সুতরাং যুবকটি জবাব দিতে ইতস্তত: করছিল; কিন্তু সে তখন আত্ম অনুশোচনায় ও ভয়-ভীতিতে বিহবল অবস্থায় আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করল:
হে মাবুদ ! আমাকে তুমি খলিফা ওমর (রা:) এর সামনে লজ্জিত করো না।তাঁর কাছ থেকে ত্রুটি ও অপরাধ গোপন রাখ। আমি তোমার নিকট খাঁটি তওবাহ করছি এবং এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, জীবনে আর কোনদিনই আমি মদ স্পর্শ করবো না। এরুপ তওবাহ করার পরক্ষণেই যুবক হযরত ওমর (রা:) এর প্রশ্নের জবাব দিল যে, হে খলিফা! আমার কাছে এটি একটি সিরকার বোতল; কিন্তু খলিফা তার কথায় পূর্ণ আস্থা না এনে বোতলটি দেখতে চাইলেন। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী তখন বোতলটি তার সামনে পেশ করা হল।দেখা গেল যে, বোতলটি মধ্যে সত্যিই সিরকা ভর্তি রয়েছে।

কেউ এভাবে ভীত মনে কোন লজ্জাজনক ও পাপকাজ থেকে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানালে এবং খাঁটি তাওবাহ করে নিলে আল্লাহ পাক এক বস্তুকে অপর বস্তুতে পরিণত করেও ফরিয়াদির পাপ মার্জনা করে দেন এবং তার মান সম্মান পর্যন্ত অক্ষুণ্ন রাখেন।
(মুকাশাফাতুল ক্বুলুব)

 --- সুবহানাল্লাহ ---

Surah Yaseen Ki Tilawat Ke Fazail

Hadees 1»
Hazrat Ans bin Maalik radhiAllahuanhu Se Riwayat Hai Ke
RasoolAllah sallallahualaihi wasallam Ne Farmaya
Jisne Ek Martaba Surah Yaseen Tilawat Ki Use 10 Quraan Tilawat Ka Sawaab Milenga

(Tirmizi fil sunan Kitaab fazail e quraan. Jil 5 page 149-150 raqam number 2887)

Hadees 2»
Hazrat Mouqil bin Yasaar radhiAllahuanhu Se Riwayat Hai ke
RasoolAllah sallallahualaihi wasallam Ne Farmaya
Apne Murdo Ke Paas Surah Yaseen Tilawat Kiya Karo

(Abu Daud fil sunan, kitabul janayez. Jild 3 page 191 raqam number 3121)

Hadees 3»
Hazrat Jandab radhiAllahuanhu Se Riwayat Hai Ke
RasoolAllah sallallahualaihi wasallam Ne Farmaya
Jo Allah Ki Khushnodi Ke Liye Surah Yaseen Tilawat Karta Hai Allah Use Bakhsh Deta Hai

(Daarmi fil sunan Jild 2 page 548 raqam number 3415)

Hadees 4 »
Hazrat Abu Huraira radhiAllahuanhu Se Riwayat Hai ke
Farmaya RasoolAllah sallallahualaihi wasallam Ne
Jo Shakhs Juma Ki Raat (Yaani Aajki Raat) Surah Yaasin Tilawat Karenga Wo Bakhsh Diya Jayenga

Munzari fil targhaib wal tarhaib. Jild 1 page 298 raqm number 1100

হাউজে কাউসার

 নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার হাউজে কাউসারের দূরত্ব একমাসের রাস্তা। এটা চতুর্ভূজ আকারের । যার পানি দুধের চেয়েও সাদা, মেসকের চেয়েও সুগন্ধ আর উজ্জ্বলতার দিক দিয়ে আকাশের নক্ষত্রের মত । এই ঝর্ণা থেকে যারা একবার পানি পান করবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হবেনা ।
[বূখারী ও মুসলিম]

পবিত্র কুরআন ও হাদিস এর আলোকে পীর অলিদের কথা

পীর অলিদের কথা শুনলে অনেকের গা জ্বালা করে। অহাবি, জামাত, শিবির, আহলে হাদিস রা মনে করে নামায পরলেই আর কিছু লাগবে না। কিন্তু ইসলামে কলব পরিস্কার কে যে কত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা আমার নিম্নের লিখাটি পড়ে বুঝতে পারবেন। কলব পরিস্কার করার এক মাত্র পথ পীর মুর্শিদ এর কাছে বায়াত গ্রহন করে তাদের কথা মত রিয়াজত করা। নিম্নের লিখাটি শেয়ার করে সবাইকে সত্য জানিয়ে দিন, সংগ্রহে রাখুন এবং ইসলাম বিকৃত কারীদের থেকে সাবধান করুন।

ক্বলব শব্দের অর্থ অন্তর বা মন। এটি একটি মাংশের টুকরা। । পবিত্র কোরআনে ক্বলবের অবস্থান সম্পর্কে এরশাদ হচ্ছে : “বস্তুত চক্ষুতো অন্ধ হয় না কিন্তু ঐ ক্বলব অন্ধ হয় যে ক্বলব হলো বুকের মধ্যে।” (সুরা হজ্ব ৪৬)

রাসুল (সাঃ) ফরমান : “নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের শরীর বা আকৃতির দিকে তাকান না, বরং তিনি তোমাদের ক্বলবের (মন বা অন্তর) দিকেই তাকান।”

অতপর রাসুল (সাঃ) ক্বলবকে দেখানোর জন্য স্বীয় আঙ্গুল দ্বারা নিজের বুকের দিকে ইশারা করলেন। (মুসলিম শরীফ)

ক্বলব সম্পর্কে রাসুল পাক (সাঃ) আরো বলেন : “ক্বলব হলো সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গেঁর বাদশা।” ( মেরকাত শরীফ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৬২)

অর্থাৎ একটি দেশের বাদশাহ ভাল হলে দেশের প্রজারাও যেমন ভাল হতে বাধ্য হয়, তদপ্রু একটি মানুষের ক্বলব বা অন্তর ভাল হলে নিজের কাজ কমর্ও ভাল হয়ে যায়। অপর দিকে একটি মানুষের ক্বলব খারাপ হলে তার কর্মকান্ডও খারাপ হয়ে যায়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছ : ‘‘তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ পড়ে গেছে। ফলে তারা বুঝে না।” ( সুরা তওবা, আয়াত-৮৭)

পবিত্র কোরআনে অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে : “আমি তাদের ক্বলব সমুহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছি। ফলে তারা শুনতে পায় না।” (সুরা আ’রাফ-১০০)।

সেদিন (কিয়ামতের দিন) কোন অর্থ সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি কোন কাজে আসবে
না ; সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সুস্হ বা পরিচ্ছন্ন ক্বলব নিয়ে আল্লাহরকাছে আসব।
(সুরা শু’আরা ৮৮-৮৯)

যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার ক্বলবে(অন্তর বা মন) সৎপথ প্রদর্শন করেন। (সুরা-আত তাগাবুন-১১)

তাদের ক্বলবে(অন্তর বা মন) আল্লাহ ঈমানকে নির্ধারিত দিয়েছেন।(সুরা মুজাদালাহ-২২)

পবিত্র হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে : “জেনে রেখ, মানুষের দেহের মধ্যে এক খন্ড মাংশ পিন্ড আছে, যখন তাহা সংশোধিত হয়, তখন সমগ্র দেহ সংশোধিত হয়ে যায়। আর যখন তা দুষিত হয় তখন সমগ্র দেহটাইত দুষিত হয়ে যায়। মনে রেখ ওটাই ক্বলব।” ( বোখারী ও মুসলিম শরীফ)।

অন্য এক হাদিসে পাওয়া যায় : ‘‘মানুষ যখন কোন পাপ কাজ করে তখন তার ক্বলবের মধ্যে কালি পড়ে যায়।’’

অন্য হাদিসে পাওয়া যায় : ‘‘শয়তান প্রতিটি মানুষের ক্বলবের মধ্যে হাটু গেড়ে বসে থাকে। যখন সে জিকির শুরু করে তখন সে পালিয়ে যায়। আবার যখন আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল হয় তখন শয়তান আবার ক্বলবে ফিরে এসে ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রনা) দিতে থাকে।’’

সুতরাং দেখা যাচ্ছে ক্বলব যতটুকু ভাল তার আমলও তত ভাল আর যার ক্বলব যত নষ্ট, তার আমলও তত নষ্ট বা খারাপ। পবিত্র কোরআনে আরও এরশাদ হচ্ছে : “যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে আল্লাহ তার ক্বলবকে হেদায়াত দান করবেন”। (সুরা আন কাবুত ৯১)।

অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে : ‘‘হে রাসুল, তাদের জন্য দুঃখ করবেন না যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়।যারা মুখে বলে আমরা ঈমান এনেছি, অথচ তাদের ক্বলব ঈমান আনেনি।’’ (সুরা মায়েদা-৪১)

অন্যত্র কালাম পাকে এরশাদ হচ্ছে : “কখনো না, বরং তারা যা কিছু (গোনাহ) উপার্জন করে তাই তাদের ক্বলবের উপর মরিচা ধরিয়ে দিচ্ছে।” ( সুরা মুতাফিফীন-১৩)।

ক্বলবের মধ্যে এই মরিচা পড়তে পড়তে ক্বলব কাল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর ভাল মন্দের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।রাসুল পাক (সাঃ) ফরমান : “তখন ভালকে ভাল জানার এবং মন্দকে মন্দ জানার ক্ষমতা রাখেনা” ( মুসলিম শরীফ-১ম খন্ড, ৮২ পৃঃ) ।

তওবা ও এস্তে-গফার করে নেয় তাহলে তার ক্বলব ছাফ হয়ে যায় আর যদি গুনাহ বাড়তে থাকে তাহলে দাগও বাড়তে থাকে ও অবশেষে এটা ক্বলবকে ঘিরে ফেলে” (তিরমিজি শরীফ)।

সুতরাং কলব থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে হলে কলব সংশোধন করা আবশ্যক। কলব সংশোধন হয়ে গেলে গুনাহ করতে মন চাইবে না। গুনাহর প্রতি ঘৃনা সৃষ্টি হবে। গুনাহ করতে খারাপ লাগবে ও কষ্ট বোধ হবে । অপর দিকে ইসলামের দিকে চলতে মনে ভাল লাগবে ও উৎসাহ বোধ হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মনের অসুস্থতা ও জং বা ময়লা কিভাবে দুর করা যায় এবং এগুলো আমদের ক্বলব বা মন থেকে দুর করতে পারলে কি উপকার হবে। রাসুল পাক (সঃ) বলেন ”প্রতিটি বস্তু পরিস্কার করার জন্য একটি যন্ত্র বা রেত থাকে । তদ্রুপ মনের পরিচ্ছন্নতা আনার যন্ত্র হচ্ছে আল্লাহর জিকির বা স্বরণ” রাসুল পাক (সঃ) বলেন “হে আল্লাহ আপনার জিকিরের দ্বারা আমাদের ক্বলবের তালা গুলো খুলে দিন।” রাসুল পাক (সাঃ) আরো বলেন “মানুষ যখন কোন খারাপ কাজ বা গুনাহ করে তখন তার ক্বলবের মধ্যে কালো দাগ পড়ে যায়” রাসুল পাক (সঃ) আরে বলেন “নিশ্চয়ই ক্বলব সমুহে মরিচা পড়ে। যেমন ভাবে লোহার মধ্যে পানি লাগলে মরিচা পড়ে। তখন সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) বললেন হে আল্লাহর রসুল (সাঃ) এটা পরিস্কার করার উপায় কি? জবাবে রাসুল পাক (সঃ) বললেন মৃত্যুকে খুব বেশী বেশী স্মরণ করা আর কোরান তেলওয়াত করা”।

এখন কথা হচ্ছে আমাদের ক্বলব কিভাবে ময়লা ও অসুস্হ হয় এবং কি ভাবে এই ক্বলবকে পরিস্কার ও সুস্থ্য করা যায় এবং প্রকৃত ঈমানদার ও মুসলমান হওয়া যায়। এতক্ষনের আলোচনায় একথা প্রমানিত হলো যে আমদেরর ক্বলব বা মনে জং ধরতে পারে বা ময়লা হতে পারে বা অসুস্হ হতে পারে, আল্লাহ তায়ালার আদেশ নিষেধ না মেনে চললে এবং অ-ইসলামিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে একবার মানুষের মন অসুস্হ ও কলুষিত হলে তখন তার আল্লাহর আদেশ নিষেধের ব্যাপারে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তখন সে তার নফসের খায়েস বা মনের আকাংখা পূরনের জন্যই সব কাজ করে থাকে ।
মুরশিদ ই হলেন সুফি সাধকের পথ প্রদর্শক। তিনি পীর বা জ্ঞানবৃদ্ধ। ইসলামী আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে পীর হলেন বাস্তব বা বাহ্যিক এবং আত্মিক বা অভ্যান্তরীণ জ্ঞান ও অনুভূতির শিক্ষক। সুতরাং মুরশিদ বা পীরের অনুসরণের মাধ্যমেই সেই পরম প্রকাশিত সুন্দর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌কে লাভ করা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন-

ইয়া আইয়্যুহাল্লাজীনা আমানু আম্ব্রি উল্লাহা অআতী উর রাসূলা আউলিল আম্ব্রিª মিনকুম (৪ঃ৫৯)।

অর্থ ঃ তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ্‌ র এবং আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাদের যারা তোমাদের মধ্যে প্রাজ্ঞ নেতা ।

পবিত্র হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে “জেনে রেখ, মানুষের দেহের

মধ্যে এক খন্ড মাংশ পিন্ড আছে, যখন তাহা সংশোধিত হয়, তখন সমগ্র দেহ সংশোধিত

হয়ে যায়। আর যখন তা দুষিত হয় তখন সমগ্র দেহটাইত দুষিত হয়ে যায়। মনে রেখওটাই ক্বলব”( বোখারী ও মুসলিম শরীফ)

তাই সেই পরম প্রকাশিত সুন্দর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌র দিদার লাভ করতে হলে মুরশীদের নিকট আনুগত্তের বিকল্প নেই বললেই চলে।

পরিশেষে বলতে চাই দুনিয়ার লোভ ত্যাগ করে ওলী-আল্লাহ গনের সাহচর্যে থেকে নিজের চরিত্র ঠিক করে রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর নীতি অনুযায়ী চললে দুনিয়াতে শান্তি আখেরাতেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।কারন ওলী-আল্লাহ গনের সান্নিধ্য ছাড়া চরিত্র ঠিক করা সম্ভব না কেও কখনো পারে নাই পারবেও না

সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আমাদের ক্বলব বা মন সুস্থ হয়ে যায়। আল্লাহ পাক তখন ইচ্ছা করলে এই ক্বলবের মধ্যেই এক জ্ঞান দান করেন। এই জ্ঞান কোন বই পত্র পড়ে বা শুনে অর্জন করা সম্ভব নয় । এই জন্য এই জ্ঞানকে ক্বলবী জ্ঞান বা আত্বিক জ্ঞান বলা হয় ।।

Tuesday, 25 February 2014

HADEES E PAAK

Hazrat Jaabir Radi-Allahu-Ta'aala-Anhu Kehte Hain Ki Huzoor SALLALLAHU-TA'AALA-ALAIHI-WASALLAM Ne Farmaya, Tum Mayse Kisi Aadmi Ko Uska Amal Na Jannat May Lejayega Aur Na Jahannam Se Bachayega Aur Na Hi Mujhe Magar Yeh Ki ALLAH Ki Rehmat Hojaye!
Yani Kisiko Bhi Apne Kaam Per Bharosa Nahi Karna Chahiye, Balki ALLAH Ki Rehmat Ka Umidwar Rehna Chahiye Ki ALLAH Ki Rehmat Hi Aakhirat Ke Ajaab Se Nijaat Dene Wali Hain!

(Behki)

উম্মতের সর্দারকে গর্ভে ধারণ

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন,
আমিনা বিনতে ওহব নিজে বলতেন যে,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর গর্ভে থাকাকালে স্বপ্নে কে যেন তাকে বলে যায়, তুমি এই উম্মতের সর্দারকে গর্ভে ধারণ করেছ । তিনি ভূমিষ্ঠ হলে তুমি বলবে, এঁকে আমি সকল হিংসুকের অনিষ্ট ও যাবতীয় বিপদাপদ থেকে এক আল্লাহ্ আশ্রয়ে সোপর্দ করছি। কারন প্রশংসাহ আল্লাহর নিকট তিনি মর্যাদাবান। তাঁর সঙ্গে এমন একটি নূর বের হবে, যা সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ সমূহকে আলোকিত করে ফেলবে। ভূমিষ্ঠ হলে তুমি তাঁর নাম রাখবে "মুহাম্মদ" তাওরাতে তাঁর নাম আহমদ। আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তাঁর প্রশংসা করে। ইনজীলে তাঁর নাম "আহমদ" আর কুরআনে তাঁর নাম মুহাম্মদ।
(আল-বিদায় ওয়ান নিহায়া ২য় খণ্ড।
{পৃষ্ঠা নম্বরঃ- ৪৮৭ }
সুবহানাল্লাহ

হাদিস এ পাক

হযরত আবূ উমামা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, 
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র পবিত্র 
দরবারে আরয করলো, “ঈমান কি?হুযুর এরশাদ করলেন,যখন তোমাকে 
স্বীয় নেকী আনন্দিত করবে এবং স্বীয় মন্দ কাজ পীড়া দেবে, তাহলে তুমি
কামিল মু’মিন”,লোকটি পুনরায় আরয করলো, “এয়া রাসূলাল্লাহ্‌!গুনাহ্‌ কি”?
হুযুর এরশাদ করলেন, যে জিনিস তোমার অন্তরে বিদ্ধ হয় তা ছেড়ে দাও”।
(কিতাবুল ঈমানঃহাদীস নং-৪১,মিশকাত শরীফ)

সূরা ইখলাসের ফজিলত ও বরকত

১.যে ব্যক্তি একবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে সেই
ব্যক্তি কুরআনুল কারীম এক তৃতীয়াংশ পাঠ করার সওয়াব
লাভ করবে।

২.যে ব্যক্তি দশবার পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা নিজ
কুদরতি হাতে জান্নাতের মধ্যে বিশেষ মর্যাদাশীল
একটি মহল তৈরি করবেন।

৩.যে ব্যক্তি অধিক পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা আর জন্য
জান্নাতে ওয়াজিব করে দিবেন।

৪.যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণ পাঠ করবে আল্লাহ্
তায়ালা তাঁর লাশ বহন করার জন্য হয়রত জিবরাঈল (আঃ)
এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরন করবেন। সেই
ফেরেশতারা তাঁর লাশ বহন করবে এবং জানাজায় শরিক হবে।

Monday, 24 February 2014

বিপদ থেকে রক্ষা পওয়ার মূল্যবান দরুদ শরীফ

শায়খ সালেহ মুসা‬ (রা:) বলেন,”আমি্ একদা নৌকায়
চড়িয়া সমুদ্রপথে সফর করিতেছিলাম।এমন সময় হঠাৎ 
প্রচন্ড ঝড় উঠিল।নৌকায় সমস্ত আরোহীগণ প্রাণ ভয়ে
অস্থির হইয়া উঠিল।আমার কিন্ত এই বিপদকালেও কিছু
তন্দ্রবোধ হইল।সেই অবন্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা
আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া বারাকা ওয়া সাল্লামাকে স্বপ্নে
দেখিলাম।তিনি বলিলেন,নৌকায় সমস্ত যাত্রীকে
১০০০বার এই দরুদ শরীফ পাঠ করিতে বল।”
আমার তন্দ্রা ছিটিয়া গেল।অমনি আমি সবাইকে
আমার সপ্নের সংবাদ জানাইয়া ঐ দরুদ শরীফ
পড়িতে বলিলাম,আমাদের সকলের প্রায় ৩০০ বার
পড়া হইয়াছে এমন সময় দেখা গেল যে,ঝড় কাটিয়া
গিয়াছে।এবং সমস্ত দু:খের অবসান ঘটিয়াছে।
(হাছান ইবনে আলী উসওয়ানী (রা:) বলেন,
”এই দরুদ শরীফ এক হাজার বার পাঠ করা
প্রত্যেক আপদ বিপদ দূর করিবার জন্য যথেষ্ট)
দরুদ শরীফটি এই:-
আল্লহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মদিন ওয়া
আলা আ’লি সাইয়িদিনা মুহাম্মদিন সালাতান তুনাজ্জিনা
বিহা মিন জামীয়িল ওয়াল আ’ফাতি ওয়াতাক্বদীলানা বিহা
জামীয়াল বিহা জামীয়াল হাজাতি ওয়া তুত্বাহহিরুনা বিহা
মিন জামীয়িস্ সাইয়েয়াত ওয়া তারফাউনা বিহা ইনদাকা
আ’লাদদারাজাত ওয়াতুবাল্লিগুনা বিহা আক্বসাল গায়’তি
মিন জামীয়িল খায়রাত ফিল হায়ারাত ফিল হায়াত বা’দাল মামাত।
(আল্লামা ফাকিহানী তদীয় কিতাব আল ফজনুল মুনীরে বর্ণনা করেন)

পবিত্র কূর'আনের সূরা গুলোর নামের অর্থ

আপনি জানেন কি পবিত্র কূর'আনের সূরা গুলোর নামের অর্থ :

আমরা মুসলিমরা পবিত্র কূর'আন পড়ি কিন্তু আমরা অনেকেই পবিত্র কূর'আনের সূরা গুলোর নামের অর্থ জানিনা, আসুন জেনে নেই পবিত্র কূর'আনের সূরা গুলোর নামের অর্থ গুলিঃ

১. আল ফাতিহা (সূচনা)
২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর)
৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪. আন নিসা (নারী)
৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
৭. আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ),
৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
৯. আত তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
১০. ইউনুস (নবী ইউনুস),
১১. হুদ (নবী হুদ),
১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
১৩. আর রা'দ (বজ্রপাত),
১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
১৭. বনী-ইসরাঈল (ইহুদী জাতি),
১৮. আল কাহফ (গুহা),
১৯. মারইয়াম (মারইয়াম (ঈসা নবীর মা))
২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ),
২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
২৩. আল মু'মিনূন (মুমিনগণ),
২৪. আন নূর (আলো),
২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
২৭. আন নম্‌ল (পিপীলিকা),
২৮. আল কাসাস (কাহিনী),
২৯. আল আনকাবূত (মাকড়শা),
৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
৩১. লোক্‌মান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি),
৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদা),
৩৩. আল আহ্‌যাব (জোট),
৩৪. সাবা (রানী সাবা/শেবা),
৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
৩৭. আস ছাফ্‌ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
৩৯. আয্‌-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
৪০. আল মু'মিন (বিশ্বাসী)
৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
৪২. আশ্‌-শূরা (পরামর্শ),
৪৩. আয্‌-যুখরুফ (সোনাদানা),
৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু),
৪৬. আল আহ্‌ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ),
৪৮. আল ফাত্‌হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
৫০. ক্বাফ (ক্বাফ),
৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
৫২. আত্ব তূর (পাহাড়),
৫৩. আন-নাজম (তারা),
৫৪. আল ক্বামার (চন্দ্র)
৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্‌ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭. আল হাদীদ (লোহা)
৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),
৫৯. আল হাশ্‌র (সমাবেশ),
৬০. আল মুম্‌তাহিনাহ্ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
৬১. আস সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),
৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),
৬৪. আত তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
৬৫. আত ত্বালাক (তালাক),
৬৬. আত তাহ্‌রীম (নিষিদ্ধকরণ),
৬৭. আল মুল্‌ক (সার্বভৌম কতৃত্ব),
৬৮. আল ক্বলম (কলম),
৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
৭১. নূহ (নবী নূহ)
৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩. আল মুয্‌যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
৭৪. আল মুদ্দাস্‌সির (পোশাক পরিহিত),
৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনরু্ত্তান),
৭৬. আদ দাহ্‌র (মানুষ),
৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
৭৮. আন্‌ নাবা (মহাসংবাদ),
৭৯. আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
৮১. আত তাক্‌ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
৮২. আল ইন্‌ফিতার (বিদীর্ণ করা),
৮৩. আত মুত্বাফ্‌ফিফীন (প্রতারণা করা),
৮৪. আল ইন্‌শিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
৮৬. আত তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
৮৭. আল আ'লা (সর্বোন্নত),
৮৮. আল গাশিয়াহ্‌ (বিহ্বলকর ঘটনা),
৮৯. আল ফাজ্‌র (ভোরবেলা),
৯০. আল বালাদ (নগর),
৯১. আশ শামস (সূর্য),
৯২. আল লাইল (রাত্রি),
৯৩. আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ),
৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
৯৫. আত ত্বীন (ডুমুর),
৯৬. আল আলাক (রক্তপিন্ড),
৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
৯৯. আল যিল্‌যাল (ভূমিকম্প),
১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
১০৩. আল আছর (সময়),
১০৪. আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
১০৫. আল ফীল (হাতি),
১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),
১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),
১১২. আল ইখলাস (একত্ব)
১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর)
১১৪. আল-নাস (মানবজাতি)

Saturday, 22 February 2014

ওসিলা তালাশ করো

ইয়া আইয়্যুহা-ল্লাযীনা আমানু-ত্তাক্বুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলাইহিল ওয়াসিলাতা ওয়া জাহিদু ফি সাবিলিহী লা'আল্লাকুম তুফলিহুন ।


অর্থ: হে আমানুগণ(যারা ইমান আনিয়াছ)! আল্লাহকে ভয় কর এবং তারই দিকে (তাকে পেতে) ওসিলা(মাধ্যম,উপায়)তালাশ(খোঁজ,অন্বেষণ) করো এবং জিহাদ করো তারই পথে যেন তোমরা মুক্তি(সফলতা)পেতে পরো ।

 (সূরা মায়েদা;আয়াত-৩৫)

ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো

আল্লাহর নামে আড়ম্ব,যিনি পরম দয়ালু,করুণাময়।

এবং ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। 
আর নিশ্চয় নিশ্চয় নামায ভারী,কিন্তু তাদের জন্য(নয়),
যারা আন্তরিক ভাবে আমার প্রতি বিনীত হয়; 
যাদের অন্তরে এই দৃঢ়বিশ্বাস রয়েছে যে, তাদেরকে
আপন রবের সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে এবং তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে।
(সূরা-বাক্বারা,আয়াতঃ৪৫-৪৬,অনুবাদঃকানযুল ঈমান)

ঋণ থেকে মুক্তির উপাই

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একজন ‘মুকাতিব’ (লিখিত চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধকৃতদাস) তাঁর নিকট এসে নিবেদন করল, ‘আমি আমার নির্ধারিত অর্থ দিতে অপারগ, অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন।’ (এ কথা শুনে) তিনি বললেন, ‘তোমাকে কি এমন দুআ শিখিয়ে দিব না, যা রাসুলুল্লাহ (দ:) আমাকে শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর পর্বত সমপরিমান ঋণও থাকে, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তোমার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করে দেবেন। বল,ا আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা আন হারা-মিকা,ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।’"হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও ।( হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয় ) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন এবং প্রবণতা বোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও। " [তিরমিযী ৫/৫৬০, হিসনুল মুসলিম পৃষ্ঠা ১৫৬] 

Wednesday, 19 February 2014

মহানবী (সঃ) ইন্তেকালের পরে বেলাল (রাঃ) এর মানসিক অবস্থা

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালের পরের ঘটনাঃ

হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালে বেলাল (রাঃ) প্রায় পাগলের
মতো হয়ে গেলেন । তিনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছেন । সাহাবীরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন :-
"যে দেশে মহানবী (সঃ) নেই, আমি সেখানে থাকবো না"।

এরপর তিনি মদীনা ছেড়ে দামস্কে চলে যান ।
কিছুদিন পরে বেলাল (রাঃ) সপ্নে দেখলেন যে মহানবী (সঃ) তাকে বলছেন,
"হে বেলাল (রাঃ) তুমি আমাকে দেখতে আসো না কেন ''?

এ সপ্ন দেখে তিনি মহানবী (সঃ) এর রওজা মুবারক দেখতে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হন ।

বেলাল (রাঃ) এর আগমনের খবরে মদীনাবাসী আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় ।
বেলাল (রাঃ) হলেন মহানবী (সঃ) এর নিযুক্ত মুয়াজ্জিন ।

মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর বেলাল (রাঃ) আর আযান দেননি ।
তার কন্ঠে আযান শুনতে সাহাবীরা ব্যাকুল হয়ে আছেন ।

তারা তাকে আযান দিতে বললে তিনি বলেন যে, তিনি পারবেন না ।
অনেক জোর করে তাকে বললে তিনি উত্তরে বলেন, "আমাকে আযান দিতে বলো না । কারণ এটা আমি পারবো না ।

আমি যখন আযান দিই তখন 'আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক থাকি । 'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ও ঠিক থাকি।
'আশহাদু অন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে
তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) বসে আছেন ।

কিন্তু যখন মিম্বারে তাকিয়ে তাকে দেখবো না, তখন সহ্য করতে পারবো না।"

কিন্তু তবুও সাহাবীরা জোর করলো ।

অবশেষে হাসান ও হোসাইন (রাঃ)এসে তাকে জোর করলে তিনি রাজী হন ।
তার আযান শুনে সকল সাহাবীর চোখে পানি এসে যায় ।

কিন্তু আযানের মাঝেই বেলাল (রাঃ) বেহুশ হয়ে পরে যান ।
তাকে সকলেই ধরে নিয়ে যান । পরে জ্ঞান ফিরার পর তিনি সকলকে বলেন,
"আমি যখন আযান দিচ্ছিলাম তখন 'আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক ছিলাম ।
'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ও ঠিক ছিলাম । কিন্তু 'আশহাদুঅন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের
দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) আজ সেখান বসে নেই ।

এ দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম না। তাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।"

আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট

যে ব্যক্তি এই দো'আটি সকালে সাতবার এবং সন্ধ্যায় সাতবার বলবে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তা-ভাবনার জন্য আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন -
"আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।"[ সূরা আত-তাওবাহ -১২৯]
[আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ -২/৩৩২]
উচ্চারণ- হাছবী আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আ'লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশীল আযীম

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) চাঁদের তুলনায় অনেকগুণ বেশী সুন্দর

হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি একবার চাঁদনী রাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছিলাম। তিনি তখন লাল (লাল রেখা বিশিষ্ট) চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত ছিলেন। আমি কখনও চাঁদের দিকে তাকাতাম, আবার কখনও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দিকে। অবশেষে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) চাঁদের তুলনায় অনেকগুণ বেশী সুন্দর।

- শামায়েলে তিরমিযী, হাদীস নং - ৯, অনুচ্ছেদ- ১

আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর (রাঃ)

একবার আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর (রাঃ) এর স্ত্রীর মিষ্টি খাওয়ার খুব ইচ্ছে হল। তিনি স্বামীকে মিষ্টি কিনে আনতে বললেন। সারা মুসলিম জাহানের আমীর আবু বকর জানালেন তার মিষ্টি কেনার সামর্থ নেই। আমীরুল মুমিনীনের স্ত্রী এরপর প্রত্যেক দিনের খরচ থেকে টাকা বাঁচিয়ে জমা করা শুরু করলেন। কিছু অর্থ জমা হওয়ার পর তা স্বামীকে দিয়ে বললেন মিষ্টি কিনে আনতে। আবু বকর জিজ্ঞেস করলেন এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে। স্ত্রী বললেন প্রতিদিনের খরচ থেকে বাঁচিয়ে তিনি এই অর্থ জমা করেছেন। আবুবকর (রাঃ) তখন বললেন, এই পরিমাণ অর্থ তাহলে আমি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অতিরিক্ত নিচ্ছি?এটার তো তাহলে আমার আর দরকার নেই! এরপর তিনি সেই অর্থ স্ত্রীর জন্য মিষ্টি কেনার বদলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে আসেন।

আল্লাহু আকবর। আল্লাহু আকবর।

এই ছিল আমাদের সালাফদের অবস্থা। এত সহজ সরল, বাহুল্যমুক্ত আর বিলাসিতামুক্ত জীবন যাপন করেছিলেন বলে তারা আল্লাহর দ্বীনকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন।

আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজেদের অকাতরে বিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন। দুনিয়ার চাকচিক্যে অভ্যস্ত হননি বলেই কাফেররাও এই সাদামাটা মুসলিমদের কথা শুনলে ভয়ে কাঁপত। আর আজ কাফেররা আমাদের ভয় পাবে কি আমরা আজ তাদের কাছে হাসির পাত্র।

দ্বীন থেকে সরে আসার ফলাফল এর চেয়ে ভাল হয় কি করে!!

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) একবার একটা গল্

এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে।তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন। কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন কুয়া দেখতে পেলেন। তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ।পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখে তা খপ করে ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।
উপরে চেয়ে দেখলেন কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায় চেয়ে আছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা আর একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন যখন তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তখন হঠাৎ তারসামনে কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন।তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন। সেই মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল যে তিনি কিছু মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত সিংহ, নিচের হাঁ করে থাকা সাপ, আর দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভূলে গেলেন।ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এই গল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন :

এই সিংহটি হচ্ছে আমাদের মৃত্যু,যে সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সেই সাপটি হচ্ছে কবর।যা আমাদের অপেক্ষায় আছে। দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন, যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা।সাদা ইঁদুর হল দিন, আর কালো ইঁদুর হল রাত, যারা প্রতিনিয়ত ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের আয়ু কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া। যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমাদের এই চতুর্মুখি ভয়ানক বিপদের কথা ভূলে যাওয়াটা বাধ্য।

কুরআন মাজীদে কিছু শব্দ

কুরআন মাজীদে কিছু শব্দ আল্লাহ পাকের জন্য ব্যবহার করার অর্থ এটা নয় যে, ঐ শব্দগুলো গায়রুল্লাহর জন্য ব্যবহার করলে শিরক হবে। যেমনঃ বন্ধু, সাহায্যকারী ইত্যাদি।

আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই।
[সূরা বাকারা, আয়াত-১০৭]

আর অভিভাবক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ঠ আর সাহায্যকারী হিসেবেও আল্লাহই যথেষ্ঠ। [সূরা নিসা, আয়াত-৪৫]

আর সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ব্যতীত অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। [সূরা আনফাল, আয়াত-১০]

আপনার প্রতিপালকই সঠিক পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট।
[সূরা ফুরকান, আয়াত-৩১]

মুমিন পুরুষ এবং মহিলা পরস্পরে একে অপরের বন্ধু, তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং অন্যায় কাজ থেকে (মানুষদেরকে) বিরত রাখে।
[সূরা তাওবাহ, আয়াত-৭১]

যদি তোমরা নবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে একে অন্যকে সাহায্য করো, তবে জেনে রেখা যে, আল্লাহই তার বন্ধু এবং জিবরাঈল (আঃ) ও সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণও, উপরন্তু অন্যান্য ফেরেশতাগণও তার সাহায্যকারী।
[সূরা তাহরীম, আয়াত-৪]

তোমাদের বন্ধুতো আল্লাহ, তার রাসূল এবং মুমিনবৃন্দ।
[সূরা মায়িদাহ, আয়াত-৫৫]

তোমরা আমাকে (হযরত যুলকারনাইন) শ্রম দিয়ে সাহায্য করো।
[সূরা কাহাফ, আয়াত-৯৫]

তুমি যাদেরকে হেদায়েত করেছ

হে আল্লাহ! তুমি যাদেরকে হেদায়েত করেছ, আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যাদেরকে নিরাপদ রেখেছ আমাকে তাদের দলভুক্ত কর। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, আমাকে তাদের দলভুক্ত করো। তুমি আমাকে যা দিয়েছ তাতে বরকত দাও। তুমি যে অমঙ্গল নির্দিষ্ট করেছ তা হতে আমাকে রক্ষা করো। কারণ তুমিই তো ভাগ্য নির্ধারণ কর। তোমার উপরে তো কেউ ভাগ্য নির্ধারণ করার নেই। তুমি যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, সে কোন দিন অপমানিত হবে না এবং তুমি যার সাথে শত্রুতা করেছ, সে কখনো সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের প্রভু! তুমি বরকতপূর্ণ ও সুমহান।

[তিরমিযি : ৪২৬]

আল্লাহ তা’য়ালা বলেন

“যখন বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তখন আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যখন সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় তখন আমি তার দিকে দু’হাত অগ্রসর হই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে তখন আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।”
(বুখারীঃ ৭৫৩৬, মুসলিমঃ ২৬৭৫)

Tuesday, 18 February 2014

মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন

আমি লক্ষ্য করছি বারবার আপনার আসমানের দিকে তাকানো। সুতরাং অবশ্যই আমি ফিরিয়ে দেবো সেই ক্বিবলার দিকে, যাতে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে । এখনই আপন মূখ ফিরিয়ে নিন মসজিদে হারামের দিকে ;এবং হে মুসলমানগণ ! তোমরা যেখানেই থাকো স্বীয় মূখ সেটার দিকে ফিরাও । আর যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে, তারা নিশ্চয় জানে যে, এটা তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সত্য এবং আল্লাহ তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অনবহিত নন ।”

[সূরা বাক্বারা; আয়াত ১৪৪, পারা ২,অনুবাদঃ কানযুল ইমান ৫৪-৫৫ পৃষ্ঠা ]

নবীজীর থুথু মোবারকের আদব

হযরত উরওয়া বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন-"যখনই নবী করিম (দ) থুথু মোবারক ফেলতেন,সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ না কেউ তা হাতের মধ্যে নিয়ে নিতেন এবং থুথু মোবারক মুখে ও শরীরে মালিশ করে নিতেন।"
 ( বোখারী, ১ম খন্ড, অযু অধ্যায়, ১৬৮ )
 --- সুবহানাল্লাহ ---

Marehra Sharif

~~~~~Urs Mubarak HUZUR AHSANUL ULMA HAZRAT SAYYEDNA SHAH MUSTAFA HAIDAR HASAN Rehmatullah Alayh (15, Rabiul Aakhir, Mazar :- Marehra Sharif, U.P.)~~~~~

>>HUZUR AHSANUL ULMA AUR MASLAKE AALA HAZRAT :-
*Aap Farmaya Karte The ke “Hamare Khandaan Ke Bachcho ko AALA HAZRAT ka Naam Ghutti me Pilaya Jata He. AALA HAZRAT Hamare Ajdaad ke Sipeh Saalare Aazam Aur Vazire Aazam He”

*HUZUR AHSANUL ULMA ‘MASLAKE AALA HAZRAT’ ke Alambardaar The Aur Shedaai bhi. Aapke Shehzaade SAYYED AMIN MIYA SAHAB farmate He ke “Din me Kai Baar AALA HAZRAT aur MUFTI E AAZAME HIND Radiyallahu Anhum ka Tazkira karna To Unki Aadat Thi”. Ham Bhaiyo se Kehte The Ke “Mera Jo Murid MASLAK E AALA HAZRAT Se Zara Bhi Hat Jaae to Me Uski Bait Se Bezaar hu Aur Mera Koi Zimma Nahi he. Ye Meri Zindagi me Nasihat Aur Visaal Ke Baad Meri Vasiyat He”

*Inteqaal se Chand Roz Pehle Mere Bhai SAYYED NAJIB HAIDAR NOORI Se farmaya Ke “Beta MOULANA AHMED RAZA KHAN FAAZILE BARELVI Ke Maslake Haq ko Hamesha Mazbooti se Thame Rehna. Dar Haqiqat MASLAKE AALA HAZART Koi nai Chiz Nahi He ke Yahi Maslake Saahibul Barkaat He, Maslake Gous e Aazam He, Maslake Imam e Aazam he Aur Maslake Siddiqe Akbar He”

*Aap HUZUR AALA HAZRAT aur HUZUR MUFTI E AAZAM Ko “MERE AALA HAZRAT, MERE MUFTI E AAZAM” Keh kar Yaad farmate The. Aap AALA HAZRAT ko ‘RAZA E AALE RASOOL’ Farmate The.

(Tajjaliyate Ahsanul Ulma)

গাউসে পাকেৱ লাঠিৱ কৃতিত্ব

এক বছৱ দাজ্লা নদীৱ পানি ভর্তি হয়ে প্রবাহিত হলো।এমনকি বাগদাদ শহৱ ডুবে যাওয়াৱ উপক্রম হয়েছিল।লোকেৱা হযৱত শায়খ আবদুল ক্বাদিৱেৱ দৱবাৱে ফৱিয়াদী হয়ে আসলো।অতঃপৱ তিনি লাঠি হাতে নিলেন এবং নদীৱ তীৱ পর্যন্ত আসলেন।পানিৱ সীমানায় সেটাকে গেড়ে দিলেন এবং বললেন,"এ পর্যন্ত থাকো!"তখনই পানি নেমে গেলো।
(বাহজাতুল আসৱাৱ,পৃ-২৬০)

মৃগী ৱোগ থেকে ৱক্ষা

¤¤¤¤¤মৃগী ৱোগ
থেকে ৱক্ষা¤¤¤¤¤
এক ব্যাক্তি শায়খেৱ
(গাউসে পাকেৱ)
দৱবাৱে আসলো।আৱ
বলতে লাগলো,আমি ইসফাহানেৱ
অধিবাসী।আমাৱ এক
স্ত্রী আছে;বেশিৱ ভাগ
সময় তাকে মৃগী ৱোগ
আক্রমন কৱে।তাবিজ-
মন্ত্ র
দ্বাৱা চিকিত্সাকাৱীদে
ৱকে তাৱ
বিষয়টি অপাৱগকৱে দিয়েছে।
শায়খ
বললেন,"এটা একটা জিন্,যা সিংহল
দ্বীপে থাকে।তাৱ নাম
'খানিস'।(ভবিষ্য
তে)তোমাৱ
স্ত্রীকে মৃগী আক্রমন
কৱলে তাৱ
কানে বলে দিও,হে খানিস!
তোমাকে শায়খ আবদুল
ক্বাদুৱ,যিনি বাগদাদে থাকেন,বলেছেন
যেন আৱ কখনো আসো।আৱ
যদি এ নিষেধ
না মানো তবে ধ্বংস
হয়ে যাবে।"তখন
লোকটি চলে গেলো এবং দীর্ঘ
দশ বছৱ যাবত্ আসেনি।
তাৱপৱ
সে আসলো এবং আমৱা তাকে এ
ব্যাপাৱে জিজ্ঞাসা কৱলাম।
সে বললো,"আমি শায়খেৱ
নির্দেশ
অনুসাৱে তাকে বলে দিয়েছিলাম।
সুতৱা ং এ পর্যন্ত তাৱ
(স্ত্রীৱ) উপৱ মৃগীৱ
প্রভাব পড়েনি।"
তাঁৱা আৱো বলেন,তাবিজ-
মন্ত ্র কাৱীদেৱ
সৱদাৱগণ বলেছেন
যে শায়খ আবদুল
ক্বাদিৱেৱ জীবদ্দশায়
দীর্ঘ চল্লিশ বছৱ
যাবত্
বাগদাদে কাৱো উপৱ
মৃগী ৱোগেৱ প্রভাব
পড়েনি।যখন তাঁৱ
ইনতিকাল হল,তথন
থেকে মৃগীৱ প্রভাব
পড়েছিল।
(বাহজাতুল
আসৱাৱ,পৃ:২৪৭-২৪ ৮)

শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে কে আল্লাহকে বেশি ভয় করে

কে নারী বা কে পুরুষ, এতে কোনো মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে কে আল্লাহকে বেশি ভয় করে, কে বেশি দ্বীনদার…

"হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করে দিয়েছি, যাতে করে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারে। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক সম্মান্তি যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী (আল্লাহু ভীরু)।"
সুরা আল-হুজুরাতঃ ১২।

ফিরাউনের স্ত্রী ছিলো সৃষ্টির সেরা, আর ফেরাউন ছিলো সৃষ্টির মাঝে নিকৃষ্ট…

মারিয়াম (আঃ) এর নখের সমান যোগ্যতা হয়তোবা আমাদের মতো লক্ষ-কোটি পুরুষের নাই।
মারিয়াম (আঃ) এর ব্যপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা বলেছিলেন…
“সেই কন্যার মত কোন পুত্রই যে নেই!”
সুরা আলে-ইমরানঃ ৩৬।

আশা করি বক্তব্য পরিষ্কার...
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাঝেই সাফল্য – নারী বা পুরুষ হওয়ার মাঝে কোনো সাফল্য/গৌরব নেই – এটা আল্লাহর তাআ’লার বাছাই।

“নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করে সে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে আর তার রব্বের কথা স্মরণ করে ও সালাত আদায় করে।”।
সুরা আল-আ’আলাঃ ১৪-১৫
কে নারী বা কে পুরুষ, এতে কোনো মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে কে আল্লাহকে বেশি ভয় করে, কে বেশি দ্বীনদার…

"হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করে দিয়েছি, যাতে করে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারে। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক সম্মান্তি যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী (আল্লাহু ভীরু)।"
সুরা আল-হুজুরাতঃ ১২।

ফিরাউনের স্ত্রী ছিলো সৃষ্টির সেরা, আর ফেরাউন ছিলো সৃষ্টির মাঝে নিকৃষ্ট…

মারিয়াম (আঃ) এর নখের সমান যোগ্যতা হয়তোবা আমাদের মতো লক্ষ-কোটি পুরুষের নাই।
মারিয়াম (আঃ) এর ব্যপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা বলেছিলেন…
“সেই কন্যার মত কোন পুত্রই যে নেই!”
সুরা আলে-ইমরানঃ ৩৬।

আশা করি বক্তব্য পরিষ্কার...
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাঝেই সাফল্য – নারী বা পুরুষ হওয়ার মাঝে কোনো সাফল্য/গৌরব নেই – এটা আল্লাহর তাআ’লার বাছাই।

“নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করে সে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে আর তার রব্বের কথা স্মরণ করে ও সালাত আদায় করে।”।
সুরা আল-আ’আলাঃ ১৪-১৫
কে নারী বা কে পুরুষ, এতে কোনো মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে কে আল্লাহকে বেশি ভয় করে, কে বেশি দ্বীনদার…

"হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করে দিয়েছি, যাতে করে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারে। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক সম্মান্তি যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী (আল্লাহু ভীরু)।"
সুরা আল-হুজুরাতঃ ১২।

ফিরাউনের স্ত্রী ছিলো সৃষ্টির সেরা, আর ফেরাউন ছিলো সৃষ্টির মাঝে নিকৃষ্ট…

মারিয়াম (আঃ) এর নখের সমান যোগ্যতা হয়তোবা আমাদের মতো লক্ষ-কোটি পুরুষের নাই।
মারিয়াম (আঃ) এর ব্যপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা বলেছিলেন…
“সেই কন্যার মত কোন পুত্রই যে নেই!”
সুরা আলে-ইমরানঃ ৩৬।

আশা করি বক্তব্য পরিষ্কার...
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাঝেই সাফল্য – নারী বা পুরুষ হওয়ার মাঝে কোনো সাফল্য/গৌরব নেই – এটা আল্লাহর তাআ’লার বাছাই।

“নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করে সে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে আর তার রব্বের কথা স্মরণ করে ও সালাত আদায় করে।”।
সুরা আল-আ’আলাঃ ১৪-১৫
কে নারী বা কে পুরুষ, এতে কোনো মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে কে আল্লাহকে বেশি ভয় করে, কে বেশি দ্বীনদার…

"হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করে দিয়েছি, যাতে করে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারে। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক সম্মান্তি যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী (আল্লাহু ভীরু)।"
সুরা আল-হুজুরাতঃ ১২।

ফিরাউনের স্ত্রী ছিলো সৃষ্টির সেরা, আর ফেরাউন ছিলো সৃষ্টির মাঝে নিকৃষ্ট…

মারিয়াম (আঃ) এর নখের সমান যোগ্যতা হয়তোবা আমাদের মতো লক্ষ-কোটি পুরুষের নাই।
মারিয়াম (আঃ) এর ব্যপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা বলেছিলেন…
“সেই কন্যার মত কোন পুত্রই যে নেই!”
সুরা আলে-ইমরানঃ ৩৬।

আশা করি বক্তব্য পরিষ্কার...
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাঝেই সাফল্য – নারী বা পুরুষ হওয়ার মাঝে কোনো সাফল্য/গৌরব নেই – এটা আল্লাহর তাআ’লার বাছাই।

“নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করে সে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে আর তার রব্বের কথা স্মরণ করে ও সালাত আদায় করে।”।
সুরা আল-আ’আলাঃ ১৪-১৫
কে নারী বা কে পুরুষ, এতে কোনো মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে কে আল্লাহকে বেশি ভয় করে, কে বেশি দ্বীনদার…

"হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করে দিয়েছি, যাতে করে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারে। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক সম্মান্তি যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী (আল্লাহু ভীরু)।"
সুরা আল-হুজুরাতঃ ১২।

ফিরাউনের স্ত্রী ছিলো সৃষ্টির সেরা, আর ফেরাউন ছিলো সৃষ্টির মাঝে নিকৃষ্ট…

মারিয়াম (আঃ) এর নখের সমান যোগ্যতা হয়তোবা আমাদের মতো লক্ষ-কোটি পুরুষের নাই।
মারিয়াম (আঃ) এর ব্যপারে স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা বলেছিলেন…
“সেই কন্যার মত কোন পুত্রই যে নেই!”
সুরা আলে-ইমরানঃ ৩৬।

আশা করি বক্তব্য পরিষ্কার...
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাঝেই সাফল্য – নারী বা পুরুষ হওয়ার মাঝে কোনো সাফল্য/গৌরব নেই – এটা আল্লাহর তাআ’লার বাছাই।

“নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করে সে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে আর তার রব্বের কথা স্মরণ করে ও সালাত আদায় করে।”।
সুরা আল-আ’আলাঃ ১৪-১৫

KEEMTI LIBAAS

HIQAYAT
*******
Hazrat Imaam Jafar Sadiq Radi-Allahu-Ta'aala-Anhu Ko Logon Ne Dekha Ki Aap Bada Besh-Keemti Libaas Pehne Hue Hain! Ek Shaks Ne Kaha Ki, Aye Ibne Rasool! Itna Keemti Libaas Ehle-Baeth Ko Zeba Nahi! Aapne Uska Hath Pakda Aur Aastin Ke Ander Khinchker Dikhaya Ki Dekh Yeh Kya Hain?

Usne Dekha Ki Niche Aap Taat Jaisa Khurdura Libaas Pehne Hue Hain! Aapne Farmaya Ki Yeh Khalk Keliye Hain Aur Wo Khalik Ke Waaste Hain!

(Tazkiratul Auliya Pg-17)

মদের নাম পরিবর্তন

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, "আমার উম্মতের কিছু লোক এমন হবে যারা, মদের নাম পরিবর্তন করে অন্য নাম রাখবে , এবং তা পান করবে । আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে । আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন"।

(সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ৪০২০; সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৬৭৫৮)

মহানবী (সঃ) ইন্তেকালের পরে বেলাল (রাঃ) এর কাহিনী

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর
ইন্তেকালের পরের ঘটনাঃ

হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালে বেলাল (রাঃ) প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেলেন । তিনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছেন । সাহাবীরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন :-
"যে দেশে মহানবী (সঃ) নেই, আমি সেখানে থাকবো না"।
এরপর তিনি মদীনা ছেড়ে দামস্কে চলে যান । কিছুদিন পরে বেলাল (রাঃ) সপ্নে দেখলেন যে মহানবী (সঃ) তাকে বলছেন, "হে বেলাল (রাঃ) তুমি আমাকে দেখতে আসো না কেন ''? এ সপ্ন দেখে তিনি মহানবী (সঃ) এর রওজা মুবারক দেখতে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হন । বেলাল (রাঃ) এর আগমনের খবরে মদীনাবাসী আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় । বেলাল (রাঃ) হলেন মহানবী (সঃ) এর নিযুক্ত মুয়াজ্জিন ।
মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর বেলাল (রাঃ) আর আযান দেননি । তার কন্ঠে আযান শুনতে সাহাবীরা ব্যাকুল হয়ে আছেন । তারা তাকে আযান দিতে বললে তিনি বলেন যে, তিনি পারবেন না । অনেক জোর করে তাকে বললে তিনি উত্তরে বলেন, "আমাকে অযান দিতে বলো না । কারণ এটা আমি পারবো না ।
আমি যখন আযান দিই তখন 'আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক থাকি । 'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ও ঠিক থাকি। 'আশহাদু অন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) বসে আছেন । কিন্তু যখন মিম্বারে তাকিয়ে তাকে দেখবো না, তখন সহ্য করতে পারবো না।" কিন্তু তবুও সাহাবীরা জোর করলো ।

অবশেষে হাসান ও হোসাইন (রাঃ) এসে তাকে জোর করলে তিনি রাজী হন । তার আযান শুনে সকল সাহাবীর চোখে পানি এসে যায় । কিন্তু আযানের মাঝেই বেলাল (রাঃ) বেহুশ হয়ে পরে যান ।
তাকে সকলেই ধরে নিয়ে যান । পরে জ্ঞান ফিরার পর তিনি সকলকে বলেন, "আমি যখন আযান দিচ্ছিলাম তখন 'আল্লাহু আকবর' বলার সময় আমি ঠিক ছিলাম । 'আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার সময়ও ঠিক ছিলাম । কিন্তু 'আশহাদুঅন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) আজ সেখান বসে নেই । এ দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম না। তাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।"

জাহান্নামের পরিচিতিঃ

* জাহান্নামের গভীরতা এমন যে, এর মুখ
থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর
সময় লাগে।
* বিচারের দিন জাহান্নামকে ৭০ হাজার শিকল
দ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন
করবেন।
* জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর
জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।
* জাহান্নাম বাসীর শরীরের চামড়া ১২৬ ফুট পুরু করে দেওয়া হবে যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ
হয়। তাদের শরীরে আরও থাকবে তিলযার এক একটি হবে উহুদ পাহাড়ের
সমান। আর জাহান্নাম বাসীর বসার
জায়গা হবে মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত দূরত্বের সমান।
* প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।
* জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটাযুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি, পুঁজ, পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল।
এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এত বেশি হবে হবে যে তারা এই পানীয়
পান করতে থাকবে।
* জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব
অনন্ত কাল ধরে চলতে থাকবে। জাহান্নাম বাসীরা এক
পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল
টপকিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহ হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবেl
আল্লাহ আমাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান
করুন। আমিন |

Monday, 17 February 2014

নবী করিম (স.) এর ইন্তেকালের পূর্বে আজরাঈলের সঙ্গে কথোপকথন

নবীজর মৃত্যুর সময় জিবরাইল
আসলেন,এসে নবীজিকে সালাম দিলেন,আর বল্লেন
হে আল্লাহ‘র রাসুল আল্লাহ আপনাকে সালাম
দিয়েছে,আর জানতে চেয়েছে আপনি কেমন আছেন,
আল্লাহ সব জানেন তার পড় ও আপনার মুখ
থেকে জানতে চেয়েছেন আপনি কেমন আছেন,
নবীজি বল্লেন আমি বড়ই কষ্টের ভিতর
আছি,অসুস্হ আছি, জিবরাইল
বল্লো ইয়া রাসুলল্লাহ একজন নতুন
ফেরেস্তা এসেছে আজ আমার
সাথে,যে ফেরেস্তা কোন মানুষের কাছে আসার
জন্য কোন দিন অনুমতি চায়নাই, আর কোনদিন
অনুমতি চাইবে ও না,শুধু আপনার অনুমতি চায়
আপনার কাছে আসার জন্য,আর সে ফেরেস্তার
নাম মালাকুল মউত, মালাকুল মউত।
রাসুল (স.)র অনুমতি নিয়ে রাসুলের জাসান
মোবারকের কাছে এসে সালাম দিলেন, বল্লেন
ইয়া রাসুলল্লাহ আদম (আঃ) থেকে শুরু করে এই
পর্যন্ত আমি যত মানুষের জান কবোচ
করেছি,আর কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষের জান
কবোচ করবো কারো কাছে অনুমতি চাইনি আর
চাওয়া ও আমার লাগবে না, কিন্তু আজকে আসার
সময় আল্লাহ বলেছেন আমি যেন আপনার
অনুমতি চাই, নবীজি বল্লেন মালাকুল মউত
আমি যদি অনুমতি না দেই? মালাকুল মউত
বলে ইয়া রাসুলল্লাহ বলেছেন,
অনুমতি না পেলে ফিরে এসো।

নেককার নারী স্বভাব এত

নেককার নারী স্বভাব এত উন্নত হয় যে, স্বয়ং আল্লাহ তাদেরকে সালাম পাঠান ::

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, (হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন থাকার দিনগুলিতে) একদিন জিবরীল (আঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এই যে খাদীজা একটি পাত্র নিয়ে আসছেন। তাতে তরকারী ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। তিনি যখন আপনার নিকট আসবেন, তখন আপনি তাঁকে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতের মধ্যে মুক্তাখচিত এমন একটি প্রাসাদের সুসংবাদ দিবেন, যেখানে হৈ-হুল্লোড় নেই, নেই কোন কষ্ট’।

[মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৯২৫, ১১/১৮৯]

এমনিভাবে মা আয়েশা (রাঃ) কেও জিবরীল (আঃ) সালাম জানিয়েছেন। জবাবে তিনিও জিবরীল (আঃ)-কে সালাম জানান।

[মুত্তাফাক্ব, বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/৫৯২৭, ১১/১৯০]

সুতরাং নেককার নারীরা তাদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে সমাজে থাকবে মাথা উঁচু করে। সমাজ দেখবে হাদীছে যে সমস্ত নারীকে তিরষ্কার করা হয়েছে, তারা সেই সব নারী নয়। তারা আমলে, আক্বীদায়, যোগ্যতায় অনেক পুরুষের চেয়েও উত্তম।

Hadith

عن عائشة رضي الله عنها قالت : كنت في الشجر ثوبا لرسول الله صلي عليه و سلم فانطفا المصباح و سقطت الابرة من يدي فدخل علي رسول الله صلي الله عليه و سلم فاضاء من نور وجهه فجدت الابرة-
অর্থ : “হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাপড় মোবারক সেলাই করেছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুচটি হারিয়ে ফেললাম। এরপরই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুচটি খুজে পেলাম”।
(ইমাম ইবনে হায়তামী (রাঃ) এর আন-নে’মাতুল কোবরা আলার আলম গ্রন্থে ৪১ পৃষ্ঠা)।

Angoothay Chumna Kaisa....?

Hazrat Bilal (Radi Allahu Anhu) Ne Azaan Di, Jab Hazrat (Bilal Radi Allahu Anhu) Ne
(Ashhaduana Muhammadur Rasoollullah) Azaan Mein
Kaha To Hazrat Abu Bakar Sidiq (Radhi Allahu Anhu) Ney
Anguthey Choom Kar Ankhon Say Laga Liye.
Jab Azaan Khatam Hui To Hazur Paak (Sallallahu Alaihe Wa Sallam) Ne Farmaya Aey Merey Sahabiyon
Kya AaJ Aapney Koi Nai Baat Dekhi Hai.
To Sahaba iKaram Ne Arz Ki Ya
RasoolAllah (Sallallahu Alaihi Wa Sallam) AaJ Hum Ne
Dekha Ke Jab Hazrat Bilal Ne Azaan Mein (Ashhaduanna
Muhammadur Rasoollullah) Kaha To Hazrat Abu Bakar Sidiq Ne Apney Anguthey Choom
Kar Ankhon Par Laga Liye.
To Huzur Paak Ne
Farmaya Jo Koi Aisa Karega Mein Muhammad(Sallallahu Alaihi Wa Sallam) Zamin Hun Ke Uski
Aankhen Kharab Nahi Hongi.......!!
[Tafseer Ruhul Bayan, Jild-7, Page-229]

Sunday, 16 February 2014

Huzur Pak ki Zindegi

HUZOOR (Sallallahu Alaihi Wasallam) ne zindagi me sirf 1 baar Hajj kiya aur 4 baar Umra kiya. HUZOOR (Sallallahu Alaihi Wasallam) ne 53 saal Makkah me aur 10 saal Madina me guzare. HUZOOR (Sallallahu Alaihi Wasallam) ke 3 bete Qasim(RadiAllahu Anhu), Ibrahim(RadiAllahu Anhu) aur Tahir (RadiAllahu Anhu) the.
Aur 4 ladkiya thi
1. Zainab Radiallahu Anha 2. Ruqaiya Radiallahu Anha 3. Umme kulsum Radiallahu Anha 4. Fathima Radiallahu Anha
HUZOOR (Sallallahu Alaihi Wasallam) ke ham-shakl sahabi ka naam Hazrat Musab Bin Umair (RadiAllahu Anhu) tha. HUZOOR (Sallallahu Alaihi Wasallam) ke daant mubarak Jang-e-Uhad me shaheed hue. HUZOOR (Sallallahu Alaihi Wasallam) jab is dunya se zahiri pardah farma hue to Hazrat Ali (RadiAllahu Anhu) ne Aap (Sallallahu Alaihi Wasallam) ko ghusal diya. HUZOOR (Sallallahu Alaihi Wasallam) ke tadfeen ke liye Hazrat Abi Talha (RadiAllahu Anhu) ne qabr mubarak khodi.
subhanALLAH

প্রিয় নবীজির হাদিস মোবারক

হযরত আবূ সাঈদ রাঃ হতে বর্ণিত, রাসুল দঃ এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক আছেন যারা তাদের সকল সমর্থক ও অনুসারীদের জন্য সুপারিশ করবে । আর কিছু লোক আছেন যারা একটি দলের জন্য সুপারিশ করবে । আর কিছু লোক আছে যারা এক এক জনের জন্য সুপারিশ করবে । এভাবে তারা সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে ।
(তিরমীযি খন্ড,২ পৃঃ ৬৭, হাদিস নং ২৪৪০)

কিয়ামত খুবই কাছে এসে গেছে

মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত খুবই কাছে এসে গেছে। তিনি নিকটবর্তী হওয়ার কতগুলো আলামত জানিয়ে দিয়ে গেছেন। আলামত গুলো ছোট বড় দু'করমেরই রয়েছে। আলামত গুলোর মধ্যে যা যা রয়েছে তা নিম্নরূপ ঃ

১. মানুষ ব্যাপকহারে ধর্মবিমুখ হবে,
২. বিভিন্ন রকমের পার্থিব আনন্দ এবং রং তামাশায় মেতে থাকবে,
৩. নাচ-গানে মানুষ মগ্ন থাকবে,
৪. মসজিদে বসে দুনিয়াদারীর আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত হবে,
৫. সমাজে ও রাষ্ট্রে অযোগ্য লোক এবং মহিলা নেতৃত্ব শুরু হবে,
৬. মানুষের মধ্যে ভক্তি, শ্রদ্ধা, স্নেহ ভালবাসা কমে যাবে,
৭. ঘন ঘন ভূমিকম্প হতে থাকবে,
৮. সব দেশের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিবে,
৯. অত্যাধিক শিলা-বৃষ্টি হবে,
১০. বৃষ্টির সাথে বড় বড় পাথর বর্ষিত হবে,
১১. মানুষের রূপ পরিবর্তিত হয়ে পুরুষ স্ত্রীলোকের ন্যায় এবং স্ত্রীলোক পুরুষের রূপ ধারন করবে।

কিয়ামতের সময় যখন আরও নিকটবর্তী হবে তখন ঃ

১. ইমাম মাহদীর আগমন ঘটবে,
২. দাজ্জালের আর্বিভাব হবে,
৩. হযরত ঈসা (আঃ) এর আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন,
৪. ইয়াজুজ-মাজুজের উৎপাত দেখা দিবে,
৫. পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদয় হবে,
৬. কুরআনের অক্ষর বিলোপ হবে,
৭. তাওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে,
৮. দুনিয়া হতে ইমানদারের বিলুপ্তি দেখা দেবে ইত্যাদি ।

জাগ্রত অবস্থায় নবী করিম (সঃ) এর দর্শন লাভ

প্রশ্নঃ জাগ্রত অবস্থায় নবী করিম (সঃ) এর দর্শন লাভ করা কি সম্ভব ও বাস্তব ?
উত্তরঃ জাগ্রত অবস্থায় নবী করিম (সঃ) এর দিদার লাভা করা সম্ভব এবং বাস্তবেও তা ঘটেছে । আলেমগণ উল্লেখ করেছেন যে, অনেক অলি আল্লাহই নবী করিম (সঃ) কে স্বপ্নে দেখার পর পুনরায় জাগ্রত অবস্থায় দেখেছেন এবং তাদের মঙ্গলময় অনেক কিছু জেনেছেন । এটা তাদের কারামতের অংশ ।।

প্রশ্নঃ উক্ত সম্ভাবন ও বাস্তবতার কোন দলীল ও প্রমাণ আছে কি ?
উত্তরঃ বোখারী ও মুসলিম শরীফে উল্লেখ আছেঃ
অর্থঃ “নবী করীম (সঃ) এরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখেছে, সে অচিরেই আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখতে পারবে । শয়তান আমার সুরত ধারণ করতে পারেনা ।” (বোখারী ও মুসলিম)
হাদীস বিশেষজ্ঞ ইমামগণ এভাবে উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যা করেছেন- এই হাদিসের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে যে, নবী করিম (সঃ) এর যে উম্মত স্বপ্নবস্থায় দিদারে মোস্তফার দ্বারা সৌভাগ্যবান হতে পেরেছ, সে মৃত্যুর পূর্বেই জাগ্রত অবস্থায় নবীজীকে দেখতে পাবে ইনশাআল্লাহ । মৃত্যুর পূর্বক্ষনে হলেও সে অবশ্যই দেখবে । একই সময়ে লক্ষ জায়গায় এভাবে নবী করিম (সঃ) হাজির হতে পারেন ।
কোন কোন কম এলেমের লোক এই হাদিসের অপব্যখ্যা করে বলেছে যে, হাদিসের মধ্যে ‘মানাম ও ইয়াক,জা অর্থাৎ স্বপ্ন ও জাগ্রত অবস্থা’ অর্থ যথাক্রমে কবর ও হাশর । এটা তাদের ভুল ব্যাখ্যা ও হাদিসের মর্ম পরিবর্তন মাত্র । কেননা কবরে ও হাশরে তো সমস্ত উম্মতই, এমনকি কাফিরও হুজুর (সঃ) কে দেখতে পাবে । এটা পরীক্ষার জন্য । এটা তো সৌভাগ্যের বিষয় নয় বরং পরীক্ষার বিষয় । অথচ হাদিসের মর্ম হচ্ছে সৌভাগ্যও কারামত হিসাবে ।
বর্নিত হাদিসখানা অতি ব্যাপক এবং অনেক মাস’আলা ও আকিদার মীমাংসার দলিল । যথাঃ
১) নবী করীম (সঃ) একই সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে স্বপ্নে দেখা দিতে এবং স্বশরীরে হাজির হতে পারেন । কেননা, উম্মাত যেখানে—তার দিদারও সেখানে । তিনি পৃথিবীময় হাজির ও নাজির ।
২) ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রঃ) বলেছেন, এ সঙ্ক্রান্ত সমস্ত হাদিসের সারকথা হলো—নবী করীম (সঃ) শরীর ও রুহ মোবারক সমন্বয়ে দেহধারী হিসেবে জীবিত আছেন । তিনি দুনিয়ায় জীবদ্দশার মতই এখনো আসমান ও জমিনের যথায় ইচ্ছা ক্ষমতা প্রয়োগ করতে সক্ষম । কিন্তু ফেরেশতাদের মতই তিনি লোক চক্ষুর অন্তরালে বিরাজমান । আল্লাহ্‌ যখন ইচ্ছা করেন—তখন সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের থেকে পর্দার অন্তরায় সরিয়ে নেন এবং ঐ বান্দা তাকে দেখেন । এটা ঐ বান্দার কারামত । নবীজী সর্ব জায়গায় আছেন, কিন্তু লোক চক্ষুর অন্তরালে । টিভির ছবি ইথারের মাধ্যমে সর্বত্র বিরাজমান । চাবি অন্‌(ON)করলেই দেখা যায় কিন্তু অফ(OFF) করলে দেখা যায় না । নবীজীর অবস্থানের এবং হাজির হওয়ার বিষয়টিও তদ্রূপ ।

Karamat-e-Auliya

Hazrat Syeduna Imam Abdul Wahab Shaarani قدس سرہ النورانی farmate hain: Hazrat-e-Syeduna Shaikh Moosa Bin Maheen Zoli رحمۃ اللہ علیہ "Maardeen" main rehte thay, wohin Wafat pae aur usi maqam per Aap ka Mazar-e-Faiz-ul-Anwar Ziarat Gah khawas-w-awam hai. Joon hi Aap رحمۃ اللہ علیہ ko lahad main rakha gaya to Qabar wasee ho gae aur Aap رحمۃ اللہ علیہ kharay ho kar Namaz parhne lagay! Jo Shakhs Aap رحمۃ اللہ علیہ ki Lahad main utra tha woh yeh manzar dekh kar baihosh ho gaya.

(Al Tabqat ul Kubra lil Shaarani, Jild 1, Page 196)

QABR ME PEHLA TOHFA

QABR ME PEHLA TOHFA :

Sarkare Madina Sallallaahu Ta'ala Alahi Wasallam Ne Farmaya:

''Momin Jab Qabr Me Dakhil Hota Hai.
To Sabse Pehla Tohfa Yeh Diya Jata Hai Ki Uski Namaz-E-Janaza Padhne Walo Ki Magfirat Kar Di Jati Hai''
(Kanjul Ummaal)
---------------------------------------

JANAZE KA SAATH DENE KI FAZILAT:

''Hazrat-E-DaudAlahi Salam Ne Bargah-E-Khudawandi Me Arz Karte Hai,
Ya Allah Jisne Mahaz Teri Raza K Liye Janaze Ka Saath Diya Uski Kya Jaza Hai?
Allah Ta'ala Ne Farmaya,
Jis Din Woh Marega To Farishte Uske Janaze K Hamrah Chalenge Or Mai Uski Magfirat Karunga''
(Shahurssudur)
-----------------------------------------

:''Jo Janaze Ko 40 Kadam Le Kar Chale Uske 40 Qabira Gunah Mita Diye Jayenge''
(Attabrani)
----------------------------------------

MAYYAT KO NEHLANE WAGERAH KI FAZILAT:

''Hazrat-E-Ali RadiAllaho Ta'ala Anho Se Riwayat Hai Ki Sallallaahu Ta'ala Alahi Wasallam Ne Farmaya:

Jo Kisi Mayyat Ko Nehlaye, Kafan Pehnaye, Khushbu Lagaye, Namaz Padhe, Or Jo Naqis Baat Nazar Aye Use Chupaye Woh Apne Gunah Se Aisa Paak Hojata Hai,
Jaisa Jis Din Maa K Peth Se Paida Hua Tha''
(Sunn-E-Ibne Majah)

No comments:

Post a Comment